বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি’র নির্দেশনায় পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক প্রবর্তিত অভিন্ন মানদন্ডের মূল্যায়ন অনুযায়ী সার্বিক পুলিশিং কার্যক্রমের বিবেচনায় গত ডিসেম্বর মাসের কাজের ভিত্তিতে রাজশাহী রেঞ্জের ৮টি জেলার মাঝে শ্রেষ্ঠ জেলার মর্যাদা পেয়েছে বগুড়া।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পদ্মা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এই ঘোষণা করেন সভার সভাপতি বাংলাদেশ পুলিশ রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বিপিএম পিপিএম। সভায় শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে বগুড়া ও বিভাগে শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে বগুড়ার এসপি সুদীপ চক্রবর্ত্তী বিপিএম এর হাতে অত্যন্ত সন্তুষ্টি ও শুভ কামনা জানিয়ে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন ডিআইজি আব্দুল বাতেন।
এছাড়াও বিভাগে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে বগুড়া সদর সার্কেল (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর হাসান, শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বগুড়া সদরের ওসি সেলিম রেজা, শ্রেষ্ঠ ইন্সপেক্টর তদন্ত হিসেবে বগুড়া সদরের আবুল কালাম আজাদ এবং সর্বোচ্চ ওয়ারেন্ট তামিলকারী হিসেবে সদরের এএসআই ডন কংকন বর্মণ পুরস্কৃত হয়েছেন।
এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির কারণে বগুড়া জেলায় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাকি ৪ কর্মকর্তার সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্ত্তীর হাতেই তুলে দেন ডিআইজি বাতেন যা জেলায় পরবর্তীতে পুলিশ সুপার তাদের হাতে তুলে দিবেন। পুরস্কার বিতরণের সময় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এ্যাডিশনাল ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ), এ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস্ অ্যান্ড ক্রাইম)সহ রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভাগের ৮ জেলার পুলিশ সুপার সুপারগণ।
২০২১ সালের জুলাই মাসে বগুড়ায় সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই তার নেতৃত্বে করোনাকালীন প্রতিবন্ধকতার মাঝেও জেলায় দৃশ্যমান মাদক বিরোধী অভিযান, ওয়ারেন্ট তামিল, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, চাঁদাবাজি প্রতিরোধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন যার ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বর মাসেও বগুড়ার এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম এর সাথে কথা বললে তিনি এ অর্জনের জন্যে সৃষ্টিকর্তা এবং রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বিপিএম পিপিএম এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শ্রেষ্ঠত্বের এই কৃতিত্ব জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের। বগুড়া জেলা পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নতকরণ, মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদক উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেফতার ও জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা প্রণয়নে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র গর্বিত ও অদম্য পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব, কর্মস্পৃহা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা ও দৃঢ় মানসিকতার কারণে। তিনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা প্রবর্তনপূর্বক অপরাধ নির্মূলের মাধ্যমে নিরাপদ বগুড়া গড়ে তুলতে জেলা পুলিশ, বগুড়ার গর্বিত সদস্যগণ সর্বদা অঙ্গীকারাবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
Posted ৯:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD