রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর বাজার এলাকায় পাগলাপীর-বুড়িমারী সড়কে অবৈধভাবে অটোরিকশা, ভ্যান, সি এনজি, থ্রি হুইলার স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া পাগলাপীর-রংপুর সড়কের দুই পাশে ছোট যানবাহন রাখা হচ্ছে। এতে এসব স্থানে যানজটে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাগলাপীর বাজার এলাকায় আজিজুল হক নিউ মার্কেটের সামনে মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে ডিজেল চালিত থ্রি হুইলার, এবং উত্তর পাশে অবৈধ অটোরিকশা এই ভাবেই রাখতে দেখা যায়। এ সময় সড়কের উভয় পাশে দূরপাল্লারসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে যানজটে আটকে থাকতে হয়।
এ ছাড়া পাগলাপীর(রাঃ)মাজার এর সামনে পাগলাপীর বাসস্ট্যান্ড-রংপুর সড়কের দুই পাশেও অটোরিকশা ও ইজিবাইক সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। এখানে যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের। পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়কের পাগলাপীর (রাঃ) মাজারের সামনে থেকে ৫০টির বেশি অটোরিকশা গঞ্জিপুর, কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা এলাকায় চলাচল করে। অটো থ্রি হুইলার গুলো পাগলাপীর বাজার থেকে নিলফামারী জেলার জলঢাকা পর্যন্ত যাত্রী বহন করে। আর ৪০টির মতো সিএনজি রংপুর -সৈয়দপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করে। এ ছাড়া পাগলাপীর (রাঃ) মাজারের সামনে থেকে অটোরিকশা ও ইজিবাইক বেতগাড়ী পর্যন্ত চলাচল করে।
পাগলাপীর (রাঃ) মাজারের সামনের অটোরিকশার স্ট্যান্ডের সুপারভাইজার নওশাদ মিয়া বলেন, ‘গাড়ি রাখার জন্যে হামার স্ট্যান্ডের দরকার। কিন্তু অন্য কোনোটে জায়গা নাই দেখি এটে গাড়ি থুই। এতে কিছুটা যানজট হয়।’ বিষয়টি শ্রমিকনেতাদের জানানো হয়েছে।
একই ধরনের কথা বললেন পাগলাপীর-জলঢাকা সড়ক ব্যবহারকারী অটোরিকশা ও ইজিবাইকের কয়েকজন চালক। অটোরিকশার চালক মো. সোহাগ ও ইজিবাইকের চালক সাইদুল মিয়া জানান, স্ট্যান্ড না থাকায় এ সড়কের দুই পাশে গাড়ি রাখা হয়। অন্যত্র গাড়ি রাখার কোনো জায়গা নেই।পাগলাপীর বাস স্ট্যান্ড মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি মো. লিটন মিয়া বলেন- পাগলাপীর বাজারে গাড়ি রাখার মত জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশে অটো রিক্সা সিএনজি রাখার কারনে যানজট ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। স্ট্যান্ড করার জন্য আমরা এর আগেও উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। স্ট্যান্ডের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হলে ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন পাগলাপীর শাখার সম্পাদক মো. রহেদুল ইসলাম অহেদুল বলেন- পাগলাপীর বাজারে স্ট্যান্ড করার মত কোন সরকারি বা বড় জায়গা নেই বাজারের বাস স্ট্যান্ড এর পাশে অটোরিকশা, সিএনজি কিছু সড়কে রাখা হয়। আমাদের শ্রমিকরা যানজট নিরসনে সর্বত্র কাজ করছে।
পাগলাপীর এলাকার মন্ডলপাড়ার মাসুদ রানা বলেন, পাগলাপীর-বুড়িমারী সড়কটি সরু। তার ওপর রাস্তার দুই পাশে সিএনজি ও ইজিবাইক রাখায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে।
রংপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. আমির হোসেন বলেন, স্ট্যান্ড না থাকায় মহাসড়ক ও পাগলাপীর-বুড়িমারী সড়কের ওপর গাড়িগুলো রাখা হচ্ছে। এতে যানজট নিরসনে ট্রাফিকের সদস্যরা দিনভর কাজ করছেন। তবে এসব সামাল দিতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে হরিদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পাগলাপীরে স্থায়ীভাবে অটোরিকশা স্ট্যান্ড করা হলে এ যানজট ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণ।
Posted ৯:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD