রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীরে অবস্থিত গোকুলপুর কমিউনিটি ক্লিনিক নিরলস ভাবে প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাঁচ শতক জমির উপর নির্মিত গোকুলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটির বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হয়। রাতে রয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। একজন সিএসসিপি এবং সাতজন এমএইচভি নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন। সিএসসিপি নাজমা খাতুন জানান, সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোকুলপুর কমিউনিটি ক্লিনিক সেবার জন্য খোলা থাকে। দায়িত্বরতদের সকাল ৯টার মধ্যে উপস্থিত হতে হয়। দেরী হলে কমিউনিটি গ্রæপের সভাপতি রেজাউল করিম দাদুল কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে উপস্থিতির স্বাক্ষর দেখেন। রেজিষ্টার এবং রোগী তালিকা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন।
তাই ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার এবং কমিউনিটি গ্রæপের সভাপতি রেজাউল করিম দাদুলের নেতৃত্বে ও পরিচর্যায় গোকুলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি সব সময় প্রানবন্ত থাকে। এখানে সার্বিক প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় অন্তসত্ত¡া মহিলাদের প্রসবকালীন এবং প্রসবোত্তর সেবা প্রদান করা হয়। ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সে সন্তান ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মায়েদের সঠিক তালিকা প্রনয়ন, জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে শিশুর জš§ নিবন্ধন, এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ছয় মাস পরপর প্রয়োজনীয় ভিটামিন খাওয়ানো এবং রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের খুঁজে বের করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়া সাধারণ জখম, জ্বর, কাটা, পোড়া, হাঁপানি, চর্মরোগ, কৃমি এবং চোখ, দাঁত ও কানের সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণ ভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সময় মতো প্রতিষেধক টিকা, যেমন যক্ষা ডিফথেরিয়া, হুপিং কফ, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হাম, হেপাটাইটিস-বি, নিউমোনিয়া প্রভৃতিসহ কমিউনিটি ক্লিনিকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবাও দেয়া হয়। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণকারীদের জটিল কেস গুলোকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান পূর্বক দ্রত সময়ে উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করেন। তিনি বলেন, এখানে ডেলিভারীর সকল উপকরণ রয়েছে। শুরুতে কিছু স্বাভাবিক ডেলিভারী করা হয়েছে। এখন কমে গেছে। কারণ পাশেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কেউ ঝুঁকি নিতে চায় না।
৭নং ওয়ার্ড মেম্বার এবং কমিউনিটি গ্রুপের সভাপতি রেজাউল করিম দাদুল বলেন, ২নং হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের জনগনের স্বাস্থ্য সেবার জন্যই গোকুলপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু সেখানে পার্শ্ববতী খলেয়া ইউনিয়নের জনগণ সেখানে বেশি যায়। এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য দ্রুত ২নং হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে মাইকিং করা হবে।
২নং হরিদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, গোকুলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সাধারণ দরিদ্র মানুষ স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা পাচ্ছে, বিনা মূল্যে ওষুধ পাওয়া গ্রামের মানুষের জন্য একটি বড় পাওয়া। আমি বাউন্ডারী ওয়ালটি করে দেয়ার জন্য চেষ্ঠা করব।
Posted ১১:১২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD