উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানো গেছে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ ফসলি ও গো-চারণ ভূমি। পানিতে গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার গো-খামারিরা। অনেকেই বসতবাড়ি রেখে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর, সদর, বেলকুচি উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। গত ১৫ দিন ধরে ভাঙনে প্রায় অর্ধ শতাধিক ঘর-বাড়ি ও শত শত বিঘা ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। যমুনায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে জেলার অন্তত ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, যমুনার পানি দুদিন স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাবে। তবে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, যমুনা পানি বৃদ্ধি পেয়ে নি¤œাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। তবে এখনো কোন বাড়ি ঘরে পানি উঠেনি। ৫টি উপজেলায় সরকারী ভাবে পর্যাপ্ত পরিমান বরাদ্দ রয়েছে। প্রয়োজনে পানি বন্দি মানুষদের মাঝে সেই বরাদ্দগুলো বিতরণ করা হবে। এছাড়া আমাদের নিকট পৌনে ৬ শত টন চাউল মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে মজুদকৃত চাউল বিতরণ করা হবে।
Posted ৪:৫০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD