হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদারকে জামিন দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার সকালে ব্যাঙ্কক থেকে ঢাকা আসলে বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাবার মৃত্যুতে ঢাকায় এসেছিলেন দেশ ছেড়ে পালানো রন হক সিকদার।
শুক্রবার দুপুরের পর রন হক সিকদারকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকার বিনিময়ে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডিবির গুলশান বিভাগের একটি দল তাঁকে গ্রেফতার করে। ডিবির অতিরিক্ত উপ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন গণমাধ্যমকে জানান, এক্সিম ব্যাংকের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই মামলার আরেক আসামি রন হক সিকদারের ভাই দিপু হক সিকদার দেশে ফেরেননি।
এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৯ মে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেছিলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মামলার এজহারে থেকে জানা যায়, গত ৭ মে মাসে দুই ভাই রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসনেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখা হয়। তাদেরকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে নির্যাতিতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সিকদার গ্রুপ ব্যাংকটির কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব দিলে এর বিপরীতে গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা।
ওই ঘটনার জেরে মামলা করার পর থেকেই অভিযুক্ত— রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার পলাতক ছিলেন। গত বছরের ২৫ মে এই দুই ভাই রোগী সেজে নিজেদের মালিকানাধীন আর অ্যান্ড আর এভিয়েশনের একটি উড়োজাহাজকে ‘রোগীবাহী’ হিসেবে দেখিয়ে ব্যাংককের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। তাদের বাবা ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার।
