বগুড়ার আদমদীঘিতে আনসার আলী (৪২) নামের মাদক ব্যবসায়ীকে গাঁজাসহ আটক করার পর তার সহযোগীরা পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা সংক্রান্ত মামলায় অজ্ঞাত তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও এজাহারভুক্ত মুল পাঁচ আসামীকে পুলিশ ১২ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি। দীর্ঘদিন আসামীরা অধরা থাকায় ঘটনাটি অন্যখাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ আদমদীঘির চাঁপাপুর এলাকায় একজন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বেচাকেনা করছে। এমন গোপর সংবাদের ভিক্তিতে থানার উপ পরিদর্শক কাওসার মাহমুদ ও নাজমুল হক মৃধা সঙ্গীয় ফোর্সসহ চাঁপাপুর বাজারে যান এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মাদক ব্যবসায়ী চাঁপাপুর বাজারের মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে আনসার আলীকে বেশ কিছু গাঁজাসহ আটক করেন।
আটকের খবরে মাদক ব্যবসায়ী আনসার আলীর সহযোগী তার ভাই জুয়েল, মোতালেব, মোকছেদ, রব্বানীসহ অজ্ঞাত আরো ৮জন সরকারি কাজে বাঁধাদান ও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ধস্তাধস্তিসহ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে ধৃত আসামী আনসার আলীকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় লাঞ্ছিতের শিকার থানার উপ পরিদর্শক কাওসার মাহমুদ বাদি হয়ে ওই রাতে আনসার আলীসহ ৫জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৮ জনের নামে থানায় এজাহার (মামলা) দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারি উপ পরিদর্শক আবু হাসান বলেন, এ মামলার মুল আসামীরা আত্মগোপনে রয়েছে। তবে অজ্ঞাত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন বলেন, মুল আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান তৎপরতা চলছে।
Posted ১২:২১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD