মাইনুল হাসান, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া সারিয়াকান্দিতে চরে এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও ভাল। চাষও হয়েছে গত বছরের চাইতে দ্বিগুণ। ফলন ও দাম ভালো থাকায় ভূট্টা চাষ করে চরের চাষীদের ভাগ্য বদলাচ্ছে এবার। এ মৌসুমে ৭ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদন হবে। আর এ ভূট্টায় ২শ’ ৫৭ কোটি টাকা বাজারে বিকিকিনি হবে এমনটি আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় চাষীরা জানিয়েছেন, সারিয়াকান্দির চরের চাষীরা এ সময়ে বেশিভাগ চাষ করতেন মরিচ ফসল। কিন্তু চাষাবাসে পরিবর্তন আনায় এ মৌসুমে ব্যাপকহারে চাষ করেছেন ভূট্টা ফসলের। গত বছর এ উপজেলার চাষ করা হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার সেখানে দ্বিগুন অর্থ্যাৎ প্রায় ৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে। চালুয়াবাড়ী, কাজলা, বোহাইল, হাটশেরপুর, কর্ণিবাড়ী, চন্দনবাইশা ও সদর ইউনিয়নের চরের জমির আনাচে কানাচে চাষ করা হয়েছে ভূট্টার। কোনো কোনো চরের ভূট্টার ফসল ছাড়া কোন আবাদই চোখে পড়ছে না। এ কারণে দেখে মনে হচ্ছে চরগুলো ভূট্টার চরে পরিণিত হয়েছে। যে দিকে তাকানো যায় কেবলই চোখে পড়ছে সবুজ ভূট্টার গাছ আবার কোনো জমিতে পাকা ভূট্টার মোচায় থরে থরে গাথা কেবলই সোনালী ভূট্টার দানা। চাষীরা বলছেন, আগে ফসলাদি করে তেমন একটা লাভ থাকেনি। এ বছর ভূট্টার চাষ করে ফসলের লাভের মুখ দেখছি আমরা।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাসনাপাড়া গ্রামের চাষী বাদল রহমান বলেন, আবাদ করে লাভ না থাকায় জমি বর্গা দিয়ে ট্রাক্টরের ব্যবসা ধরে ছিলাম। কিন্তু এবার চরের ১০ বিঘা জমিতে ভূট্টার আবাদ করে ফলন ও দাম দুটোই ভালো পেয়েছি। ভূট্টা ফসলেই ভালো লাভের মুখ দেখছি।
কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ছোনপাচা চরের চাষী খয়ের উদ্দিন বলেন, ভূট্টা চাষে চরে অর্থনীতিতে এ বছর ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমি ১৮ বিঘা জমিতে ভূট্টার চাষ করেছিলাম। এ ফসলে পরিশ্রম কম কিন্তু খরচ হয়েছিল প্রতি বিঘায় ১০ হাজার টাকার মতো। এরই মধ্যেই ভূট্টা জমি থেকে কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। প্রতি বিঘায় ফলন পাচ্ছি ৪০ থেকে ৫০ মণ ভূট্টা। বাজারে বিক্রি করছি প্রায় ১ হাজার ৩শ টাকা মণ। আশা করছি এ ফসলে ভালো লাভ থাকবে আমার।
উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল হালিম বলেন, এ মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় ভূট্টার ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও ভালো। চাষীদের উৎপাদিত ৭০ হাজার ৫শ ১০ মেট্রিক টন ভূট্টা বিক্রি করে ২৫৭ কোটি টাকা কৃষকের ঘরে উঠবে বলে আশা করছি আমরা। এ চাষের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় ২২ হাজার কৃষক।
Posted ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD