ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছ। এতে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছ। ধারাবাহিকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডও।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার হাসানুর রহমান জানান, শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে তা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪০ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ১ সপ্তাহ ধরে যমুনায় ধারাবাহিকভাবে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে করতোয়া, ফুলজোড়, হুড়াসগর, বড়াল ও ইছামতিসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। ইতিমধ্যে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
পানি বাড়তে থাকায় যমুনার চরাঞ্চলে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব এলাকায় পাট, তিল, কাউন, ধান, শাক-সবজি বাগান প্লাবিত আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে কৃষক।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের প্রভাবে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারনে জেলার চৌহালী ও এনায়েতপুরে দেখা দিয়ে তীব্র নদীভাঙন। সোমবার দুপুরে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মনগ্রামে একটি নান্দনিক তারকা মসজিদসহ প্রায় ১০টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সাথে চৌহালীতে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
Posted ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD