বিজয় দিবসকে ঘিরে বগুড়ায় ফুলের ব্যবসা কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়িদের মধ্যে। এখানকার ফুল ব্যবসায়িরা বিভিন্ন দিবসের দিকে চেয়ে থাকেন। কিন্তু ভাইরাসের প্রভাবে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে কোন ব্যবসা করতে পারেনি তারা। তখন চরমভাবে ভেঙে পড়ে অনেক ফুল ব্যবসায়ী।
ফুলের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার রয়েছে বগুড়ায়। এখানে বিভিন্ন উপজেলার পাইকাররা আসেন ফুল ক্রয় করতে। বগুড়ার ফুল দোকান গুলোর মধ্যে রয়েছে- লাভলী ফুল ঘর, স্বপ্নের ঠিকানা, প্রিয়া ফুল ঘর, মিনি ফুল ঘর, পলাশ ফুল ঘর, করতোয়া ফুল ঘর, বগুড়া ফুল ঘর,মালেক ফুল ঘর, স্বপন ফুল ঘর ইত্যাদি।
ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ১৫ ডিসেম্বর দুপুর থেকে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বিভিন্ন এলাকার সামাজিক, সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ আগাম ফুলের (রিঙ ও তোড়া) অর্ডার দিতে ছুটে আসেন। প্রতিটি ফুলের দোকানের ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
ফুল মার্কেটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ফুলের দোকানে এ সময় অসংখ্য কর্মচারীকে ভীষণ ব্যস্ততায় সময় কাটাতে হয়। দোকানে অসংখ্য ক্রেতার আগমনে দম ফেলার ফুসরত পেতেন না তারা। কাউকে দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখলেই ফুল লাগবে কি-না জিজ্ঞাসা করছেন তারা। বেশ কয়েকটি দোকানের সামনে ককশিট দিয়ে রিঙ (গোল বৃত্তকার) বানিয়ে রাখতে দেখা যায়। এসব ককশিট দিয়ে রিঙ (গোল বৃত্তকার) বিক্রি হয় ৩/৪হাজার টাকায়। পছন্দ মতো প্রকার ভেদে বিক্রি হয় নানা ধরনের ককশিট দিয়ে তৈরি এসব রিঙ।
এবার বিজয় দিবসে ব্যবসা কেমন জানতে চাইলে করতোয়া ফুল ঘরের লক্ষন দাস বলেন, গত বছর করোনায় ফুল ব্যবসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চলতি মাসে তাদের ভালো ফুল বিক্রি হবে বলে আমি মনে করি। এবারের ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বরকে অন্তত ৫০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করার আশা আমাদের।
Posted ৪:৪৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD