বগুড়ার শেরপুরে বন্ধুর স্ত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা করে জোরপূর্বক অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর উপজেলার শাহবন্দীগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ি গ্রামে । আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫/১৬ জনকে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরে নামে শেরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারীর বাবা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ি গ্রামের গাজিউর রহমান এর মেয়েকে গত পাঁচ বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ব্যারিস্টার পাড়ার বিবাহ দেন। ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর বন্ধু একই এলাকায় বসবাসকারী আখতারুল ইসলামের ছেলে মোঃ নুর নবী ইসলাম মাঝে মধ্যেই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো। অভিযুক্ত ব্যক্তি ও ভুক্তভোগী নারীকে মাঝে মধ্যেই কু-প্রস্তাব দিতে কিন্তু ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর বন্ধুর কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে নূর নবী সুযোগের অপেক্ষায় থেকে ওই গৃহবধূর গোসলের অশ্লীল ভিডিও মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলক কুপ্রস্তাব দিতেই থাকে কিন্তু তাতেও ওই গৃহবধূ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি হয় না।
১৫ দিন পূর্বে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে যায়। সেই সুযোগে অভিযুক্ত যুবক মোবাইলে ধারণকৃত গোসলের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে ভুক্তভোগীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়ি শেরপুর চলে আসে, গত ৩০ অক্টোবর১১ টার সময় অভিযুক্ত যুবকও চলে আসে। পুনরায় ভুক্তভোগী নারীকে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে পুনরায় অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। এসময় ওই গহবধূ ডাকাডাকি চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন এসে উক্ত নূর নবীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এই সংবাদ পেয়ে নুরনবীর সহযোগীরা খন্দকার টোলায় বসবাসকারী লিটন, শাহীন, শাহ জামাল, সামাদ, মনিরসহ ১৫-১৬জন দলবদ্ধভাবে আসে নূরনবী অভিযুক্ত যুবককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজমগীর হোসাইন জানান এঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।