বগুড়া পৌরসভায় লাগামহীন ভাবে বাড়ছে অবৈধ স্থাপনা। ঘোষণা দিয়েও বগুড়া পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। বগুড়ায় প্রাণ কেন্দ্র থেকে শুরু করে পৌর এলাকার শেষ পর্যন্ত চলছে এই অবৈধ দখলদারদের দৌড়াত্ব। গত কয়েকবছরে সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায়নি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। কয়েকজন বড় ব্যাবসায়ী সওজের ও পৌরসভার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিয়ে সমঝোতা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সওজ বলছে, এই অভিযোগ সত্য নয়।
নির্মাণ করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতাদের কার্যালয় ও একাধিক ক্লাবঘর সহ দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌর এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, শহরের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা অবৈধ স্থাপনা কন্ট্রোল করেন। পাশাপাশি সাতমাথা এলাকায় বিভিন্ন দোকানির কাছে সদর ফাঁড়ির কয়েকজন কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহন করেন।
এ ছাড়া পৌর এলাকার ২০ নং ওয়ার্ড সাবগ্রাম চারমাথা ২য় বাইপাস রাস্তার মোড়ে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পানের দোকান। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর রস্তম আলী স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এক মহিলাকে দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছেন। শুধু সেখানেই শেষ নয় সাবগ্রাম মোড়ে একটি পাবলিক টয়লেট আছে তা একক ব্যাবহার করেন ওই মহিলা। সাধারণ কোন পথচারী গেলে বাজে আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং সকালের বাজারে অবৈধ ভাবে চাঁদাবাজি অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে। তবে কাউন্সিলর এর শক্ত খুঁটির উপর ভড়করে আছেন ওই মহিলা।
গত কয়েকবছর আগে অবৈধ দখলদারদের নাম মাত্র দখলমুক্ত করার কথা থাকলেও অবৈধ দখলদারেরা আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যেসব স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো নতুন করে আরও মজবুত করে নির্মাণ করা হয়। তবে এলাকাবাসীর দাবি এখনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে পৌরসভার জায়গা হারিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Posted ৬:২১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD