ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে বগুড়ার শেরপুরে বাস-ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মধ্যে ত্রি-মুখি সংঘর্ষে বিএনপি সমর্থিত সাতজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্তত পনেরজন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (০৫ডিসেম্বর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পৌরশহরের হাজীপুর নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রাক-বাস ও মাইক্রোবাস মহাসড়কের মধ্যে আড়াআড়িভাবে উল্টে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় মহাসড়কের উভয়পাশে প্রায় তিনকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ এসে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো অপসারণ করলে প্রায় দুই ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- বিএনপির দলীয় সমর্থিত বগুড়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলার সোনাতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির, সারিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু, গাবতলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরকার বাদল, ধুনট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন, নন্দীগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক মো. সুজন মিয়া। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত বাস-ট্রাকের চালক ও তাদের সহকারীরাও (হেলপার) আহত হয়েছেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পরপরই তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাওয়ায় তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র মেয়র জানে আলম খোকা এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিএনপির সমর্থিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে আজ সোমবার ০৬ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ডাকা হয়েছে। আর সেই সমাবেশে যোগ দিতে বগুড়া জেলার সাতজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানরা একটি মাইক্রোবাস যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর আহত হন তাঁরা। খবর পেয়েই তিনিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁদেরকে দ্রæত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন বলে জানান তিনি।
র্ঘটনায় আহত ধুনট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী একটি যাত্রীবাস মহাসড়কের হাজীপুর নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি সবজি বোঝাই ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সবজি বোঝাই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে চাপা দেয়। এতে তিনিসহ মাইক্রোবাসে থাকা সবাই আহত হয়েছেন। তবে মাইক্রোবাস চালক সুজন মিয়ার মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রসঙ্গে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। মহাসড়কের মধ্যে উল্টে পড়ে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত অপসারণ করা হয়। এতে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে বলে জানান তিনি।
Posted ৮:১৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD