পিতার সম্পত্তি থেকে চার বোনকে জোড় করে বঞ্চিত করছে আপন চার ভাই! সম্পত্তির নায্য হিস্যার দাবিতে ৩০ মে মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী চার বোন। তারা বগুড়ার ‘আসল মহরম আলী দই ঘর’-এর মালিক মরহুম হাফিজার রহমানের কণ্যা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চার বোনের পক্ষে দ্বিতীয় বোনের সন্তান সেলিম উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসল মহরম আলী দই ঘরের স্বত্বাধিকারী মরহুম হাফিজার রহমান। যিনি ২০২০ সালের ৬ জুন ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী আবেদন নেছা এবং ৮ সন্তান,শাহীন আলম,নজরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, মাহাদী হাসান, আলেয়া বেগম, ছালেহা বেগম, সান্ত্বনা বেগম ও শাহানার আনকতার সাধনাকে ওয়ারিশ হিসেবে রেখে যান। তিনি বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া পশ্চিমপাড়ায় এলাকায় বসত-বাড়ি, দই কারখানা, সাতমাথা ও ফতেহ আলী বাজারে ৩টি দোকানসহ শহরের মালগ্রাম এবং কাহালু উপজেলায় অনেক জায়গা-জমি রেখে যান। যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের মালগ্রাম মৌজায় সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য মালিকানাধীন ৩ শতাংশ জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণের ৩৭ লাখ টাকা এবং কাহালু উপজেলার মারকুলী মৌজার ১১৮ শতাংশ জমি বিক্রীর ২২ লাখ ৪২ হাজার টাকাও ৪ ভাই ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।
এছাড়াও তাদের পিতার মালিকানাধীন ‘আসল মরহম আলী দই-ঘরে উৎপাদিত দই বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে ৩ লাখ টাকা মুনাফা হয়। সেই হিসাবে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৪ মাসে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মুনাফা হয়েছে। একইভাবে সাতমাথা এবং ফতেহ আলী বাজারের দোকান হতে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা আয় হয়েছে। এছাড়া পৈতৃক ৩০টি বাড়ির ভাড়া বাবদ ৪০ লাখ টাকা, বাড়ি নির্মাণ সামগ্রী বিক্রির ২ লাখ টাকা এবং কাহালুর ২০ বিঘা জমি পত্তন বাবদ আরও ৬ লাখ টাকা তার চার ৪ ভাই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তার চার ভাই বোনদের কোন ভাগ দেয়নি। ভাড়া আদায়, জমি বিক্রি ও সম্পত্তি পত্তন বাবদ সোয়া ৩ কোটি টাকারও বেশি অর্থ গচ্ছিত রয়েছে। এর মধ্যে তাদের পিতার রেখে যাওয়া ঋণের ৫৭ নাম টাকা পরিশোধ করার পর তাদের চার ভাইয়ের কাছে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা জমা আছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। পিতার রেখে যাওয়া স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদের হিস্যা চাইতে গেলে তাদের চার ভাই চার বোন এবং সন্তানদের ওপর হামলা করে বড় বোন আলেয়া বেগম এবং তার দুই সন্তান আশরাফ এবং কামরুল মারাত্মকভাবে আহত করে। এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানায় এজাহার দিলে পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। এমনকি ইতিপূর্বে বনানী পুলিশ ফাঁড়িতে পৈতৃক সম্পদ বন্টন প্রক্রিয়া নিয়ে ৩০০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্পের ওপর প্রস্তুত করা আপোষনামাটি ১৫ মে’র মধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করতে ৪ ভাই পুলিশের উপস্থিতিতে যে অঙ্গীকার করে সেটিও অবজ্ঞা করেছে। কিন্তু তার পরেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো পুলিশ ভাইদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ও চার বোন এবং তাদের সন্তানদের নানাভাবে হয়রানি করছে।
তারা চার বোন তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ, সাংবাদিক সমাজ, পুলিশ প্রশাসন সহ সচেতন মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
Posted ৭:১৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD