বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় অবস্থিত প্রধান ডাকঘরে ঈদুল ফিতরের পরদিন রাতে নৈশপ্রহরী প্রশান্ত কুমার আচার্য্যকে হত্যাসহ ভল্ট কেটে আট লক্ষাধিক টাকা লুটের ঘটনায় নওগাঁ জেলার শফিকুল ইসলাম (৪০) কে গ্রেফতার করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম নওগাঁ জেলার সাপাহার থানার পশ্চিম করমডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম এর পুত্র। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বনানী, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ডাকাতি, দস্যুতার অভিযোগে কমপক্ষে ৯টি মামলা রয়েছে। ৪ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরো জানান,গত ২৪ এপ্রিল রাতে বগুড়া সদর থানাধীন সাতমাথা এলাকায় অবস্থিত প্রধান ডাকঘরের ভল্ট কেটে ডাকাতি ও ডাকঘরে পাহাড়ারত অফিস সহায়ক প্রশান্ত কুমার আচার্য্য (৪৩), পিতা-প্রাণকৃষ্ণ আচার্য্য, মাতা- মীরা রানী আচার্য্য, সাং-বেজোড়া হিন্দুপাড়া, থানা-শাজাহানপুর, জেলা-বগুড়াকে হত্যা করা হয়।
উক্ত বিষয়ে বগুড়া জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের হলে সদর থানা পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি পুলিশ সুপার বগুড়া মৌখিক নির্দেশে বগুড়া ডিবির একটি টিম তাৎক্ষণিক ছায়া তদন্তে নামে। তারই ধারাবাহিকতায় বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) স্নিগ্ধ আক্তার পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ শরাফত ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে ডিবি বগুড়া’র ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওলিউল্লাহ এর নেতৃত্বে টিম ডিবি বগুড়া ও সদর থানার একটি যৌথ টিম নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্য এবং ডিজিটাল ফুট প্রিন্টের ভিত্তিতে গত ৩ মে বিভিন্ন সময়ে নওগাঁ জেলার সদর ও সাপাহার থানার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বগুড়া’র প্রধান ডাকঘরে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও ডাকঘরে পাহারারত অফিস সহায়ক প্রশান্ত কুমার আচার্য্যকে খুনের ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়।
Posted ৭:৪৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD