বগুড়ার পল্লীতে জীবন্ত গাছে লোহা পুঁতে ডাক্তারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, নামুজা, বুড়িগঞ্জ, মাঝিহট্ট, পিরব ও পাইকড় ৫টি ইউনিয়নের নতুন-পুরাতন ৩০/৪০ টি বন্দর, হাট-বাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে জীবন্ত গাছে লোহা পুঁতে লাগানো হয়েছে এইসব সাইনবোর্ড ও ব্যানার। এসব সাইনবোর্ডের বেশির ভাগেই হচ্ছে ডাক্তারী সংক্রান্ত। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক ব্যানার লাগানো অহরহ দেখা যায়।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) নামুজা ডিগ্রি কলেজের জীববিদ্যা প্রভাষক সাজ্জাদুর রহমান পিয়াস জানান, উদ্ভিদের স্বাভাবিক খজিন লবণ ও পুষ্টি পরিশোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এছাড়াও প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার হ্রাস বৃদ্ধির কারনে খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ক্ষতস্থানের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া অস্বাভাবিক হয়। উপরোক্ত কারণে উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ফুল ফল ধারনণ মতা ক্রমশ হ্রাস পায়।
একান্ত প্রয়োজন দেখা দিলে গাছের গায়ে তার বা রশি দিয়ে তা বেঁধে ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো যেতে পারে। কোনোভাবেই লোহা পুঁতা চলবে না। গাছে লোহা পুঁতে সাইনবোর্ড না লাগানোর জন্য ১৯৯০ এর ৯২ ধারার ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানারসহ প্রচারপত্র সেঁটে দেওয়া এবং গাছে সাইনবোর্ড লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য যে, লোহা পুঁতা গাছ ছমিলে ফাড়াই দিয়ে দূর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে নামুজা পাল্লাপাড়া গ্রামের জবের পুত্র মুনছুর আলী। এছাড়াও আহত ও নিহত ঘটনা তো হর হামেশাই ঘটছে।
Posted ১০:১০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ এপ্রিল ২০২১
Alokito Bogura। সত্য প্রকাশই আমাদের অঙ্গীকার | MTI SHOPON MAHMUD