বগুড়া সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ছাগলধরা পশ্চিমপাড়া গ্রামে শেষ রাতের দিকে বসতবাড়ীতে হামলা, ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩জন আহতসহ প্রায় ৩লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতের দিকে একদল সন্ত্রাসী এ ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যাপারে থানায় ২২জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫জনকে অজ্ঞাতনামা করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা আলোকিত বগুড়া’র প্রতিবেদককে জানান, ওই দিন ভোর রাতের দিকে ছাগলধরা পশ্চিমপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল সন্ত্রাসী দুলু প্রামানিকের বসত বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা সাউন্ড সিস্টেমে বিভিন্ন রকমের ডিজে গানের বিকট শব্দে মুখরিত করে। তরপর ওই সন্ত্রাসীরা বসতবাড়ীতে
হামলার ঘটনা ঘটায়। এ ছাড়াও এ আগে সন্ত্রাসীরা ঘুমন্ত ব্যক্তিদের শয়ন ঘরে কেরোসিন ঢেলে অগ্নি সংযোগ করে। দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলে টের পেয়ে বাড়ীর সদস্যরা ঘর থেকে দ্রুত বেড়িয়ে পরেন এবং অগ্নি নির্বাপনের কাজে ঝঁাপিয়ে পরেন। এছাড়াও সময় সন্ত্রাসীদলটি ইটের দেওয়াল উচ্ছেদ, টিনের বেড়া ভাংচুর ও ঘরের বিভিন্ন মালামাল
লুটতরাজ করে। এতে প্রায় ৩ লক্ষাধীক টাকার বিভিন্ন মালামাল ক্ষতি সাধন করা হয় দুলু মিয়া প্রামানিকের।
দুলু প্রামানিক আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, ঘুম থেকে ওঠে সস্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত দেখে আমরা হতবাক হয়ে পড়ি এবং আমরা সংখ্যায় কম হওয়ায় কোনো কিছু বলার সাহস পাইনি। তবে কথা বলতে গেলে আমার দুই ছেলে রাজেকুল ইসলাম উকিল(৩৩) ও মুক্তার আলী(২৮) কে হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুজিয়ে মাটিতে ফেলে রাখে। ৪৫মিনিট সন্ত্রাসীরা এমন ঘটনা ঘটালেও সাউন্ড সিস্টেমের ডিজে গানের শব্দে প্রতিবেশিরা কেউই এগিয়ে আসতে পারেনি। পরে তারা আমার ছেলে বউ সুরমী আক্তার
(২৫), আলেফা বেগম(২৩) ও আক্তারুজ্জামান নান্নু(৫০) তাদের মারপিট আহত হলে তাদেরকে সারিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুলু প্রামানিক আরও বলেন, ছাগলধরা মৌজার খতিয়ান নম্বর-১০৫২, আরএস দাগ নং-১৪১৫, তে ১০ শতক জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম ও লিটন মিয়াদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ জমি নিয়ে তার দলবলেরা এ ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যাপারে বিবাদী নুরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম ও লিটন মিয়াদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তবে তাদের বাড়ীতে কাউকে পাওয়া যায়নি ঘরে তালা মেরে লাপাত্তা হয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো: গোলাম রসূল আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অফিসার্স ইনচার্জ, ওসি তদন্তসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে ইটের দেওয়াল, বসতবাড়ীতে হামলা, ভাংচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং ঘটনাটি আরো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Posted ৫:২০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD