বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ফুলবাড়ি গমীর উদ্দিন বহুমুখী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
স্কুলের তথ্য পাচার, রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত ফি চাইতে অধিক ফি আদায় ও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হওয়ার সময় প্রকৃত তথ্য গোপন রাখা সহ স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সায়মিক বরখাস্তের নোটিশ দেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক লাল মুহম্মাদ সহ মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক,আঞ্চলিক পরিচালক, বোর্ড চেয়্যারম্যান, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দুদক বগুড়ার উপ পরিচালক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দিয়ে এই বহিষ্কার আদেশের কথা জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সভাপতি মমতাজুর রহমান মন্তে আলোকিত বগুড়া’র প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার যোগ্যতায় তার নেই। স্কুল এন্ড কলেজের স্বার্থকে জলানজলি দিয়ে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাহিরের লোকদের সরবরাহ করেছেন। তিনি নবম শ্রেণির ছাএ ছাএীদের কাছ বোর্ড নির্ধারিত ফি পর্রিবতে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে কমিটির কাউকে না জানিয়ে। তাছাড়াও তিনি এবারের এস এস সি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তার পাশের যে কোন বিষয়ে তৃতীয় বিভাগ থাকলে প্রধান শিক্ষকের পদে আসিন হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেননা। কিন্তু এস এস সি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ থাকলেও বাদবাকি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকলেও প্রকৃত তথ্য গোপন করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে আছে।
গভানিং বোডির ২৬ শে আগষ্ট তলবী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভাটির পরপরেই কারন দর্শানোর নোটিশটি শিক্ষা দফতরের সকল কর্মকর্তাদের পৌছিয়ে দেওয়া হয়। উপযুক্ত কারন দর্শাতে না পেরে ১০ অক্টোবর আরেকটি নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তাতেও কোন সদুত্তর দিতে পারেনি পরবর্তীতে ১৭ অক্টোবর আরেক কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পর পর তিনটি নোটিশের সঠিক উওর দিতে না পারায় তাকে সায়মিক ভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসানকে ভারপ্রাপ্ত প্রদান শিক্ষক করা হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক লাল মুহাম্মাদ বলেন, অভিযোগ গুলো সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক। স্কুলের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজে কখনও লিপ্ত থাকিনী।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সারোয়ার ইউসুফ জামান আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, আমি এ ধরনের অভিযোগের কথা শুনেছি তবে আমি কোনও কাগজ পএ পাইনি। তবে ভিলেজ পলিটিকসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কারের প্রকৃত ক্ষমতা বোর্ড কর্মকতার হাতে।
Posted ১১:০৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD