এক পাসন্ড স্বামীর নির্যাতনের শিকার শ্রী রিক্তা রায় চিকিৎসা অভাবে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মেয়েকে বাঁচাতে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা এবং নির্যাতনকারীর শাস্তি চেয়েছে ভুক্তভোগীর বাবা শ্রী মংলা রায়।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিলে স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, প্রায় বছর আগে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের আদবাড়িয়া গ্রামের পালকির বেহাড়া শ্রী মংলা রায়ের মেয়ে শ্রীমতি রিক্তা রায় কে বিয়ে দেওয়া হয় পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিলপুর গ্রামের ডাঙাপাড়ার শ্রী রতন রায়ের ছেলে শ্রী নয়ন রায়ের সাথে। বিয়ের পর ভালোই কাটছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন। দু’বছরের মাথায় একটি ছেলে সন্তানও জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় শ্রী শুভ্রত রায়। সন্তান জন্মের পরপরই শ্রী নয়ন রায় পরকীয়া সম্পর্ক করে আবারও দ্বিতীয় বিয়ে করে। এর পর থেকে প্রথম স্ত্রী রিক্তা রায়ের জীবনে নেমে কালো মেঘের ছায়া। তার স্বামী ও সতিন মিলে তাকে মাঝে মধ্যেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। ছেলে শুভ্রত রায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সকল নির্যাতন শয্য করেই সংসার করতে থাকে রিক্তা রায়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। রিক্তা রায় কে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে নয়ন রায় ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী দুজনে মিলে তার হাতপা বেধে মারপিট করে এবং রিক্তা রায়ের মুখে টয়লেট ক্লিনার হারপিক ঢেলে দেওয়া হলে রিক্তা রায়ের গলার শ্বাসনালি পুড়ে যায়। এবং সে অসুস্থ হয়ে পরে। এমন খরব শুনে তার বাবা ও বড় ভাই পাবনা থেকে বগুড়ায় নিয়ে আসে।গত ৮ই মার্চ ২০২২ইং তারিখে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা নিরিক্ষার পর শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে আরও উন্নত চিকিৎসা করাতে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
এ যেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। যার মাথা গোজারও ঠাঁই নেই। নুন আনতে পান্তা ফুরায় সে বাবার পক্ষে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানোর টাকা জোগার করার মতো সামর্থ নেই। অসহায় বাবার চোখের সামনে মেয়ে রিক্তা রায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মেয়েকে বাঁচাতে সরকারী বেসরকারী এবং দেশের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা এবং নির্যাতনকারীর শাস্তি দাবি করেন তার অসহায় বাবা শ্রী মংলা রায়। চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা নগদ একাউন্ট- ০১৩২৩-৭৩৬৯১৫।
Posted ৭:২৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD