রিমন আহম্মেদ বিকাশ: বগুড়ার সোনাতলায় চরাঞ্চলে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে গোপনে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস এর একটি ষাঁড়গরু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এতে কুদ্দুসের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। ঘটনাটি ১২ এপ্রিল (বুধবার) উপজেলার পাকুল্লা (খাটিয়ামারি চরে) গ্রামে ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে ঘটেছে। কুদ্দুস ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় কুদ্দুস প্রতিপক্ষের দুইজনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলো পাকুল্লা (নাপিতপাড়া) গ্রামের মৃত ফারাজ মোল্লার ছেলে অজিত মোল্লা(৬০) এবং তার ছেলে আব্দুল খলিল মোল্লা(২৫)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অজিত মোল্লা পাকুল্লা চারালকান্দি গ্রামের মৃত মোজাহার মাষ্টারের ছেলে আতিকুরের নিকট থেকে খাটিয়ামারি চরে ৫ বিঘা জমি এগ্রিমেন্ট নিয়ে চাষাবাদ করে আসছে। সাংসারিক কাজে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আতিকুর ওই জমি বিক্রি করার প্রস্তাব দেয় আ:কুদ্দুসকে। বাড়ির পাশে জমি হওয়ায় কুদ্দুস দরদাম ঠিক করে বায়না স্বরুপ ২ লক্ষ টাকা দেয় আতিকুরকে। এ সংবাদ পেয়ে অজিত মোল্লা ও তার ছেলে খলিল ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস ও তার পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট সহ আরও বড়ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরে ১২ এপ্রিল গরু বাধা ঘরের পাশে মরিচের জমিতে কাজ করার কোন একসময় অভিযুক্তরা গোপনে গরুর খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে দেয়। ওই দিন সন্ধায় ইফতারের পর গরুগুলো গোয়ালে উঠাতে গিয়ে দেখেন কুদ্দুসের ৭টি গরুর মধ্যে ৪টি গরূর মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। লালা ছিল দূর্গন্ধময়। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ষাঁড়গরু মারা যায়। অন্যগুলো গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হয়।
এ ব্যাপারে আ:কুদ্দুস আলোকিত বগুড়া’র প্রতিবেদককে জানান, জমির বায়না দেওয়ায় শত্রুতা করে অজিত মোল্লা ও তার ছেলে খলিল গরুর খাবারে বিষ মিশিয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন প্রশাসনের প্রতি।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বিষয়টি কৌশলে এরিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান জানান, এ সংক্রান্তে থানায় অভিযোগ হয়েছে,তদন্ত সাপেক্ষে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরকে অবগতকরার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Posted ৮:৩৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD