বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান এর উদ্যোগে নন্দীগ্রাম ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালাটি দীর্ঘদিন অযতœ অবহেলায় পড়ে থাকলেও বর্তমানে পৌর মেয়রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নব জীবন ফিরে পেয়েছে। নিয়মিত সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ডাক্তার বসছেন, দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। আগের মতো শুধু নামেই নয়, এখন কাজেও রয়েছে। ওটিসহ মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জামাদি রয়েছে।
এছাড়াও নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র মোঃ আনিছুর রহমান সাধারণ রোগীদের সেবা নিশ্চিত করণের লক্ষে হাসপাতালটিতে ইতোমধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ যাবতীয় প্রয়োনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রদান করেছেন এবং একটি ইসিজি মেশিন প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছেন। হাসপাতাল চত্ত¡রে পৌরসভার উদ্যোগে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে আগের মতো আর ধুলাবালির স্তুপ নেই, নেই কোন ময়লা আবর্জনা। একেবারেই ঝকঝকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মনোরম পরিবেশে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। নিয়মিত চালু রয়েছে বহিঃবিভাগ। হাসপাতালটি নির্মাণে সরকারের সাড়ে তিন কোটির বেশি টাকা খরচ হলেও এতদিন চালু না হওয়ায় তা এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছিলো না। কিন্তু বর্তমান পৌর মেয়রের উদ্যোগে হাসপাতালটি চালু হওয়ায় নন্দীগ্রাম বাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
নন্দীগ্রাম ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান নন্দীগ্রাম পৌর শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে বিজরুল বাজারে অবস্থিত হওয়ায় অনেকের পক্ষেই সেখানে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়াটা কষ্টকর। তাই ২০ শয্যা হাসপাতালটি চালু হওয়ায় সকলেই মেয়রের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। উপজেলা সদরে কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় পৌর শহরসহ আশপাশের বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং শিশুরা বিভিন্ন টিকাদান কর্মসূচির বাইরে থেকে যাচ্ছিল। এ কারণে উপজেলা সদরে একটি আধুনিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের দাবি তোলেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ২০০১-২০০২ অর্থবছরে হাসপাতালটি নির্মিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল নন্দীগ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাসপাতালটি চালুর ব্যাপারে উর্দ্ধতন মহলে বার বার চিঠি প্রদান করা হয়েছে। জনবল কাঠামো না থাকায় হাসপাতালটি এতদিন পুরদমে চালু করা সম্ভব হয়নি। মেয়র মহোদয়ের উদ্যোগে বহিঃবিভাগ চালু রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম ২০ শয্যা হাসপাতালটি চালু করা আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল। সেই লক্ষ্যে আমার পৌরসভার পক্ষ থেকে যেটুকু সহযোগিতার প্রয়োজন আমি তা করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কথা বলে বহিঃবিভাগসহ আন্তঃবিভাগ চালুর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Posted ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD