বগুড়ার ধুনটে আওয়ামীলীগের দুই গুরুপের সংঘর্ষ ধাওয়া পল্টা ধাওয়া পুলিশের লাঠিচার্জ ও রবাট বুলেট নিক্ষেপে পুলিশ সহ উভয় পক্ষের ২৩ জন আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা ধুনট উপজেলার হাসপাতাল ও বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ধুনট উপজেলা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সুত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারী ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআই এম নুরুন্নবী তারিক নৌকা নিয়ে পরাজিত হন। দলীয় প্রার্থীর ভরাডুবি হওয়ার পিছনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সদস্য হাবিবুর রহমান, তার ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আসিফ ইকবাল সনি সহ তাদের পক্ষের উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মহসিন আলমকে বিদ্রোহী প্রার্থী এ.জি.এম বাদশাহকে মদদ দাতা হিসাবে দায়ী করা হয়। গত ১ফেব্রুয়ারী দলের এক সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন আলমকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। বিষয়টি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপাতি টিআই এম নুরুন্নবী তারিক, আওয়ামী লীগের সাধারন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই খোকনের সাথে এমপির গ্রুপের বিরোধ শুরু হয়।
ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের গুরুপের উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপনকে উপজেলা পরিষদ এলাকায় এমপি গ্রুপের লোকজন নিমগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপন কে মারধর করেন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের পক্ষের যুবলীগের সভাপতি এস এম মতিউর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া খন্দকার ও সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ স্বপনের নেতৃত্বে নেতা কর্মীরা লাঠিসোডা নিয়ে এমপি গ্রুপের পক্ষের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে।
উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃস্টি হয়। সংঘর্ষে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সুজাউদ্দৌলা রিপন, ছাত্রলীগ সভাপতি জাকারিয়া খন্দকার, ছাত্রলীগ নেতা সজেদুর রহমান সাগর,রুবেল বাবু,আরিফ রহমান,নাসিম, আকাশ,বলাই মন্ডল, হৃদয় হাসান ১৬ নেতা কর্মী আহত বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। অপর পক্ষের এমপি পুত্রের পক্ষের যুবলীগের সুজন, সাত্তার ,ও মিঠু আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৬ রাউন্ড রবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন জানান, এমপি পুত্র পুলিশ নিয়ে আমাদের শান্তিপুর্ন মিছিলের উপর হামলা করে ত্যাগী নেতা কর্মীদের আহত করেছে। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধ বাল সংবাদকর্মীদের কাছে ৬ রাউন্ড রবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে । তিনি আরও বলেন,সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আমার অফিসার এসআই প্রদিপ কুমার বর্মণ , এসআই মজিবর রহমান সহ তিন কনষ্টেবল আহত হয়েছেন।
সদ্য বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন আলম বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি আমি জানি না । তবে আমাকে বহিস্কার করার বিষয়টি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে দলীয় গ্রুপিং হওয়ার কারনে উপজেলা আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই খোকন উপজেলা পরিষদের আসেন না । তার অনুস্থিতিতে উপজেলার অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ফেরত গেছে। এ কারনে সংঘর্ষ হতে পারে।
উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই খোকনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাহার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Posted ৫:৩৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Alokito Bogura | MTI SHOPON MAHMUD