দুপচাঁচিয়ায় সুরভী আক্তার সুমাইয়ার(৭) মৃত্যুর ৪মাস ১৬দিন পর আজ ২০ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সুরভীর দাদীর অভিযোগে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আবু সালেহ মো. হাসনাতের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশটি উত্তোলন করে। নিহত সুরভী আক্তার উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে। পুলিশ লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আদালতে মামলার সূত্রে জানা গেছে, সুরভি আক্তারের লাশ গত বছরের ৪ অক্টোবর ভোরে নিজ বাড়ির একটি কক্ষে পাওয়া যায়। এ সময় সুরভির বাবা কারাগারে ছিলেন এবং মাতা মোসলেমিনা আক্তার চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে চাকরিতে ছিলেন। পারিবারের অন্যান্য সদস্যরা সুরভি বাথরুমের ছাদ থেকে পড়ে গেছে বলে রটনা ছড়িয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দাফন করেন।
মৃত্যুর একমাসের মাথায় ১১নভেম্বর নিহতের দাদী হালিমা খাতুনের সন্দেহ হলে তিনি বাদী হয়ে নিহতের বড় মা বিলকিস খাতুন, তাঁর বড়বোন আমেনা খাতুন ও বোন জামাই জাহিদুল ইসলামকে আসামী করে বগুড়া আদালাতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় তদন্ত সাপেক্ষে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে এ বছরের ৩০জানুয়ারি দুপচাঁচিয়া থানায় নিয়মিত মামলা করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠান। আদালত নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী বলেন, আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তে হত্যার আলামত সনাক্ত হলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১০:৪৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTI SHOPON MAHMUD