বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন দেশের মানুষের কাছে দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সেই দাবি আদায় হবে রাজপথে। এ দেশে অবশ্যই নির্বাচন হবে, তবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
আজ সোমবার বিকেলে বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে বগুড়া জেলা যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক,সাবেক এমপি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল,জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম শুভ, সদস্য সচিব আবু হাসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান প্রমূখ।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মানে সমাবেশের মঞ্চে দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসার পরই নির্বাচন হতে পারে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, ‘আমাদের ৪৪ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এই অন্যায় আর সহ্য করব না। জামালপুরে একজন সাংবাদিককে আওয়ামী লীগের লোকজন হত্যা করেছে। একটি বাড়ির কেয়ারটেকার আলালকে পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এসবের শুধু নিন্দাই জানাই তা নয়, আমরা এর বিচার চাই। যারা গুম, খুন করছে, নির্যাতন করছে, তাদের সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশ রক্ষার এই লড়াই শুধু বিএনপির লড়াই নয়, এ লড়াই সমগ্র জাতির লড়াই।’ ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে বিএনপি ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা (সরকার) বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যেই সংবিধান তারা কাটাছেঁড়া করেছে, সেই সংবিধান জনগণের সম্মতি নিয়ে করা হয় নাই। এই সরকারকে বলা হয়েছে পদত্যাগ করতে, সংসদ বিলুপ্ত করতে।’
তরুণদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। এসব পুনরুদ্ধার করতে হলে তোমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। দেশ আজ চরম বিপদের মুখে। এমন সংকটে দেশ আর কখনো পড়েনি। এই সংকটকালে আমরা তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।’
এর আগে বেলা আড়াইটা থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার প্রায় সব জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নিতে সভাস্থলের আশপাশে সমবেত হন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
Posted ৯:১৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD