আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ড্রাইভার পদ শুন্য থাকায় ১টি এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট অন্যটি নষ্ট হওয়ার পথে জন সাধারণের ভোগান্তির স্বীকার। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ৫০ শয্যায় উন্নতি হওয়ার পর সরকারী ভাবে একটি এ্যাম্বুলেন্স দেয় দীর্ঘদিন চলার পর ইঞ্জিল বিকল হয়। সার্ভিসিং করে আবারও পুনরায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ব্যবহার হতো এ্যাম্বুলেন্সটি। কিছুদিনপর আবারও ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বাহির থেকে সিএনজি অথবা চড়া মুল্যে রেন্ট-এ কার ভাড়া করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে যেতে হয়।
অপরদিকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পৌরসভাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছে। সেই সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতি মা এবং বিভিন্ন রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে সরকারী ভাবে স্বল্পমুল্যে রোগী স্থানান্তর করতে পারতো স্বল্প আয়ের মানুষ। বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স বা রেন্ট কার ভাড়া করতে হলে গুনতে হয় দ্বিগুন টাকা এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ গুলো চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। এতে করে জনসাধারনের ভোগান্তী পোহানোর পাশাপশি সময় ও অর্থের অপচয় হয় বেশি।
নির্বাচনী এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষ গুলো চরম ভোগান্তির কথা চিনতে করে প্রয়াত এমপি আব্দুল মান্নান এর প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারী মন্ত্রণালয় এর বরাদ্দ হতে একটি উন্নতমানের এম্বুলেন্স নিয়ে আসে। উদ্বোধনের আগেই ১৮ জানুয়ারী আব্দুল মান্নান মৃত্যু বরণ করেন। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতি মা এবং বিভিন্ন রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে সরকারী ভাবে স্বল্প মুল্যে রোগী স্থানান্তর করতে পারতো স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। ১ জানুয়ারী/২০২২ সালে ড্রাইভার পিআরএল গ্রহন করায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ড্রাইভার পদ শুন্য হয়ে যায়। এরপর থেকে ওই এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ ১বছর গ্যারেজে পরে থাকার কারণে এ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হওয়ার পথে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীর অভিভাবক আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, আমার ছোট বোনের বাচ্চা ডেলিভারির জন্য জরুরী ভাবে শজিমেক যাওয়ার জন্য সোনাতলা হাসপাতলের এ্যাম্বুলেন্স এর চাহিদা জানালে কর্তৃপক্ষ বলে ড্রাইভার না থাকায় সেবা প্রদাণ সম্ভব হচ্ছে না।
পৌর এলাকার সচেতন নাগরকি ওমর ফারুক আলোকিত বগুড়া’কে জানান, নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রোগী পরিবহন সুবিধা হতে বঞ্চিত। গর্ভবতী মা ও শিশু রোগী জরুরী পরিবহনে প্রতবিন্ধকতা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ফজলুল করিম আলোকিত বগুড়ার প্রতিবেদককে বলেন, সোনাতলা উপজেলা হাসপাতালের একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি প্রায় ১ বছর যাবৎ ড্রাইভার না থাকায় কোন রোগী এম্বুলেন্সের সেবা গ্রহণ করতে পারছে না। অত্র উপজেলা পার্শ্ববর্তী উপজেলা সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ ও শিবগঞ্জ এর কিছু এলকার রোগী পরিবহন কাজে ব্যবহার না হওয়ায় জনসাধারণনের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। অপর পক্ষে সচল এ্যাম্বুলেন্সটি পরে থাকায় তা ব্যবহার অনুপযোগি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সোনাতলা হাসপাতালে অতিসত্তর একজন ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে জনভোগান্তি কমানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এহিয়া কামাল আলোকিত বগুড়া’র প্রতিবেদককে জানান, গত তারিখে ড্রাইভার পিআরএল অবসর গ্রহন করায় পদটি শুন্য হয়ে যায়। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাগিত দেওয়া হয়েছে কোন লাভ হয়নি। আগের এ্যাম্বুলেন্সটির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন বিকল পড়ে রয়েছে।
Posted ৫:০৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD