দুপচাঁচিয়ার চলতি মৌসুমে উচু জমি (ভিটা) গুলোতে কৃষকরা চাষ করছেন শীতকালীন সবজি টমেটো।টমোটো চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাট সাজাপুর গ্রামের টমেটো চাষী আহসান হাবীব।
কৃষকরা বছরজুড়ে প্রধান ফসল ধান চাষে ব্যস্ত থাকলেও পাশাপাশি শীতজুড়ে সবজি চাষ করেন কৃষকগন। তবে ভাল ফলন ও দামের আশায় সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগাম জাতের সবজিগুলো চাষ করেন। সাধারনত এই অঞ্চলের কৃষকরা আলু ও সরিষা চাষের পাশাপাশি টমেটো চাষেও বেশ আগ্রহী। তবে অবশ্যই আগাম এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটোর মধ্যে মিন্টু, রংধনু এবং সফল নামের জাতগুলো রোপনের বেশ আগ্রহী কৃষকরা।
কৃষকরা বলেন, প্রতি শতকে একশরও বেশি টমেটো গাছ রোপনের সাথে সাথী ফসল হিসেবে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ধুনা সহ সকল প্রকার শাকসবজি চাষ করতে দেখা গেছে এ অঞ্চলের প্রতিটি উচু জমি(ভিটা)গুলোতে। তবে একটি ফসলে ফলন ভাল না হয় অন্য ফসল দিয়ে সেই ক্ষতি সহজেই পুষিয়ে নেয়া যায়।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাট সাজাপুর গ্রামের টমেটো চাষী আহসান হাবীব বলেন, অভাব অনোটনের সংসারে হাল ধরতে গিয়ে লেখাপড়া ছেড়ে কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি। গত কয়েক বছর যাবত অন্যের জমি লিজ (পত্তন) নিয়ে টমেটো চাষ করে আসছি।টমেটোর ফলন ভালো হওয়া ও বাজারে উপযুক্ত দাম পাওয়ায় আমার অভাব অনোটনের ভালো চলছে। চলতি মৌসুমে অন্যের লিজ (পত্তন)জমি সহ নিজের ১৩ শতাংশ জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে গত ভাদ্রমাসে মাঝামাঝি সময় মিন্টু জাতের টমেটো চাষের জন্য বীজ বপন করি। ফলন ভালো হওয়ায় কার্তিক মাস থেকেই সফল ভাবে টমেটো বিক্রি শুরু করতে পেরেছি। বাজার ভাল থাকায় জমি থেকেই ৪৫-৫০ টাকা দরে টমেটো পাইকারী বিক্রয় হচ্ছে। জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, ঔষধ, ও পরিচর্যা বাবদ ২৫ থেকে ৩০হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮০হাজার টাকার টমেটো বিক্রয় করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকায় টমেটোতে যেন উৎপাদনের জোয়ার এসেছে। ভাল দাম ও উচ্চ ফলন হওয়ায় আশা করছি চলতি মৌসুমে সব খরচ বাদে ৫০ থেকে ৬০হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, আমরা কৃষকদের সার, বীজ এবং পরামর্শের পাশাপাশি তাদের তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত টিম রয়েছে।
Posted ৯:১২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | Alokito Bogura