প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই পাস হতে পারে। আগামী ২৩শে জানুয়ারির অধিবেশনে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
আইনটি পাস হলে তার আলোকেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আইনের খসড়াটি সংসদে উত্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি। সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হলেও-এ সংক্রান্ত একটি আইন করার কথা বলা আছে। অবশেষে সে আইনটি হতে চলেছে।
গত ১৭ই জানুয়ারি পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের শেষ দিনে অংশ নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেদিন সকালেই মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয়।
সার্চ কমিটি
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি বা সার্চ কমিটি গঠন করা যাবে। কমিটি উপযুক্ত ব্যক্তিদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। বরাবরের মতো সার্চ কমিটি যে ৬ ধরণের ব্যক্তি নিয়ে গঠিত হয়, সেভাবেই হবে। তবে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে কোনো নারী সদস্যকে রাখার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে-
• বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
• বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৫০ বছর।
• সরকারি-আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই সংসদে যাতে পাস করানো হয় এই আইনটির মধ্যে লেখা আছে ইহা অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। তার মানে দ্রুতই কার্যকর করা হবে। আইনটি কার্যকর হয়ে গেলেই নতুন যে ইলেকশন কমিশন সেটি এই প্রসেসেই হতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমি চেষ্টা করবো আগামি ২৩ তারিখ উত্থাপন করতে। আমি চেষ্টা করছি পাস করার জন্য। খসড়াটি সংসদে পাঠিয়ে দেয়ার যে প্রক্রিয়া সেটি করছি।
সবশেষ দুটি নির্বাচন কমিশনের বেলায় রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করেন এবং সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন।
Posted ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD