১৫ই জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী। ১৭ই আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা এবং ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় সকল শহীদদের স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগ।
আজ সোমবার বাদ আছর শহরের টেম্পল রোড দলীয় কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। এসময় তিনি বলে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন।
শুধু তাই নয় ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেছা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসেরসহ আরো অনেককে হত্যা করেছিল।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি। সমগ্র জাতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় প্রস্তুত করেছিলেন ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই চিরঞ্জীব তিনি এ জাতির চেতনায়। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনে দেশের সংবিধানও প্রণয়ন করেছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শোষক আর শোষিতে বিভক্ত সেদিনের বিশ্ববাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষে।
জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, তাপস কুমার নিয়োগী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সোভন, জলিল, দপ্তর সম্পাদক হারুনার রশিদ রাফি, সহ-দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম টুলু, মহিলা সম্পাদিকা মোর্শেদা, শাজাহান, পার্থ, জুলফিকার, সদস্য আজিজুল শেখ, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ফারুক সাখিনা শিখা, জাতীয় শ্রমিক লীগ-যুব কমিটি জেলা শাখার সভাপতি রাকিব উদ্দিন প্রাং সিজার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক লীগ নেতা জালাল উদ্দিন শেখ, শ্রী আনন্দ, লিটন, রানা, মিজান, আতাউর, সাদ্দাম, সোহাগ, কালাম, ফাতেমা বিল্লাহ, মতিউর রহমান টুকু, ইউনুস , সাখাওয়াত হোসেন দুকু, আহসান বিপ্লব, অটল, শাহ আলম, জাহাঙ্গীর, রুবেল, মাহমুদ, আব্দুস সাত্তার, আশরাফ আলী, জহুরুল ইসলাম, পলাশ, রতন, ইব্রাহীম হোসেন প্রমুখ।
শেষে শোকাবহ আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
Posted ১০:৫৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৩ আগস্ট ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD