গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় “সত্ব সাব্যস্তক্রমে দখল স্থিরতরের” মামলা চলমান থাকলেও সেই জমিতে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ঘর নির্মানের কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের এমন কাজে ভেংগে পড়েছে ওই অসহায় পরিবারটি।
কোটালীপাড়া উপজেলার ৩৮ নং মাঝবাড়ি মৌজার ১৪৩২ নং খতিয়ানের আরএস ৩৫৮৫ নং দাগের ৩০ শতাংশ জমি নিয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে জাহাঙ্গির হোসেন দাড়িয়া বাদী হয়ে “সত্ব সাব্যস্তক্রমে দখল স্থিরতরের” মামলা করেন। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে, মামলানং ২৭৪/২০২১।
জাহাঙ্গির হোসেন দাড়িয়া বলেন, ৩৮ নং মাঝবাড়ি মৌজার ১৪৩২ নং খতিয়ানের আরএস ৩৫৮৫ নং দাগে ছালেহা বেগমের নামে রেকর্ডিয় ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে ২০ শতাংশ জমি ছালেহার ওয়ারিশগণের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে ক্রয় করি। সেই থেকে আমি এই জমি ভোগ দখলে থাকলেও অজ্ঞাত কারনে এসএ ও বিআরএস রেকড বাংলাদেশ সরকারের নামে হয়। আমি অল্পশিক্ষিত হওয়ার কারনে ও জমিজমা সম্পর্কে ভাল না বুঝায় তৎকালিন সময় রেকর্ড সংশোধন করতে পারিনি। আমার সন্তানেরা বড় হয়ে বিষয়টি বুঝার পর ২০২১ সালে গোপালগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে “সত্ব সাব্যস্তক্রমে দখল স্থিরতরের” জন্য মামলা দায়ের করি। মামলাটি নিস্পত্তি হওয়ার আগে উপজেলা প্রসাশন আমার জমিতে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ঘর নির্মানের জন্য বালু ভরাট করছে।
তিনি আরও বলেন, এই জমিতে আমি ধান রোপন করে যে ধান পেতাম তাই দিয়ে আমার পরিবারের সারা বছর চলত। এই জমি চলে গেলে পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, যে জমি উপর আমার পরিবার নির্ভলশীল সেই জমিটুকু ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হোক।
মাঝবাড়ি গ্রামের হুমায়ুন কবির দাড়িয়া, মেহেদী হাসান,ফারুক দাড়িয়া, জয়নাল দাড়িয়াসহ বৃদ্ধরা জানান, এই জমি ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে জাহাঙ্গির হোসেন দাড়িয়া ভোগ দখল করে আসছেন।
কোটালীপাড়া উপেজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিলো। নিষেধাজ্ঞা ভ্যাকেট হওয়ার পরেই সেখানে আশ্রয়ন- ২ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে।
Posted ৯:৪৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD