কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি মৌসুমে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। দিগন্ত জোড়া মাঠে চারিদিক সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ, ফলনের ভারে সরিষা গাছ এখন প্রায় নুয়ে পরেছে। ভালো ফলন ও দামের আশায় কৃষক লাভের স্বপ্ন বুনছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এবার ২ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর ২ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।
সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরিষা চাষ খুবই লাভজনক একটা আবাদ। অতি অল্প সময়ে, অল্প পুজিতে কৃষকরা লাভবান হন তাই অধিকাংশ কৃষক এখন সরিষা চাষের দিকে ঝুকছেন। দুটি ফসলের মাঝে কৃষকরা সরিষা চাষের ফলনকে বোনাস হিসেবে দেখছেন। এক সময় কৃষকরা আমন ধান কাটার পর জমি পতিত ফেলে রাখতো। সময়ের সাথে সাথে তা পুরোটাই পাল্টে গেছে। এখন আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা লাগাতে হয়। যা মাত্র ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারেন। এক বিঘা (৩৩শতাংশ) জমিতে সরিষা আবাদ করতে খরচ হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। যদি সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা যায় তাহলে প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা।
উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক এরশাদ আলী জানান, আমন ধান কাটার পর আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। এই সরিষা বিক্রি করে বোরো আবাদের তেল ও সার কেনার টাকা জোগাড় হয়ে যাবে।
ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামের কৃষক গনি মিয়া বলেন, দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি ১ হাজার ৮ শত টাকা থেকে ২ হজার টাকায় প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করতে পারবো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, সরিষা মূলত একটি মসলা জাতীয় ফসল। উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে অধিক ফলন পেতে নানা ভাবে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি প্রনোদনায় সার ও বীজ সঠিক সময়ে কৃষকদের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে। ফলে কৃষকের কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। আশা করছি প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকরা এবার সরিষার ভালো ফলন পাবে।
Posted ৯:৩৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ মার্চ ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD