গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার গাবতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ৪০দিনের কর্মসূচীর তালিকায় উপজেলার মহিষাবান ইউপির ৮০জন নারী-পুরুষ মাটি কাটার শ্রমিককে অনুপস্থিতি দেখিয়ে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট এসে ৮০জনের স্বাক্ষরে এই লিখিত অভিযোগ করেন তারা।
উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একই রকম কান্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১হাজার ৫শ’ ০৩জন ৪০দিনের এই কর্মসূচীর মাটি কাটার শ্রমিক রয়েছেন। এদের মধ্যে গাবতলী সদর ইউনিয়নে ৮০জন, মহিষাবানে ১৫৯, দূর্গাহাটায় ১৭৩, বালিয়াদিঘীতে ১৩৩, নশিপুরে, ১০৯, নাড়–য়ামালায় ১১৯, নেপালতলীতে ২১৮, রামেশ্বরপুরে ১২৫, সোনারায়ে ১৭৮, সুখানপুকুরে ১১৩, কাগইলে ১০৯ ও দক্ষিনপাড়ায় ১০০জন শ্রমিক রয়েছে। এসব শ্রমিকদের মধ্যে সুখানপুকুরে ১১৩ জনের মধ্যে ৩০জানকে তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ায় ওই ৩০জন শ্রমিক গত সোমবার উপজেলায় এসে ইউএনও এবং পিআইও বরাবর শ্রমিক ছাটাই এর প্রতিবাদে লিখিত আবেদন করেছে। এছাড়াও উপজেলার প্রায় সব কয়টি ইউনিয়নের বাদ পড়া শ্রমিকরা ইউএনও এবং পিআইও’র নিকট অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার মহিষাবান ইউনিয়নেরর ছাটাইকৃত শ্রমিকরা বলেন, মহিষাবান ইউনিয়নে বিগত চেয়ারম্যানের সময় লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিতভাবে ৪০দিনের কর্মসূচীর মাটি কাটার কাজ করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে মহিষাবান ইউপি’র চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ এবং ইউপি সদস্যরা ওই শ্রমিদদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা না পেয়ে সরকারী পরিপত্রকে অমান্য করে আমাদেরকে উক্ত কর্মসূচীর কাজ থেকে বাদ দিয়েছে। তারা আরও জানান, গত ৩ডিসেম্বর থেকে ৭ডিসেম্বর ৫দিন কর্মসূচীর মাটি কাটার কাজও করেছে। ভূক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার কাজে যোগদান করলে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও ইউপি সদস্য নাজমা এবং আমেনা বিবি তাদেরকে বলে তোরা এখানে কাজ করছিস কেন? তোদের তো তালিকায় নাম নাই বলে কাজ করতে বিরত থাকতে বলে। এমতবস্থায় ওই সুবিধাভোগীরা ওই ৮০জন মাটিকাটার শ্রমিক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট তাদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা মহিষাবান ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের লোকজন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচীর তালিকা থেকে সুস্থ্য সবল ব্যক্তিদের নাম পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই। যদি কোন শ্রমিক সরকারী কোন সুবিধা পায় তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু মৃত/অযোগ্য এবং ভূয়াদের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা যাবে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে কাজের যোগ্যদের বহাল রাখা হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ৪০দিনের কর্মসূচীর তালিকায় অনেক ভ‚য়া ব্যক্তির নাম রয়েছে। তারা কোন প্রকার কাজ করে না। কারো কাছে কোন আর্থিক সুবিধা দাবী করার বিষয়টি সত্য নয়। অনেকেই অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
Posted ৮:০৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD