বগুড়ার গাবতলীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষরা ১০টি বসতবাড়ী ও দোকান ভাংচুর করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার দুপুরে গাবতলী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের তরফমেরু গ্রামে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে জয়ী কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী রতন ও পরাজিত কাউন্সিলর সোহেল রানা।
জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারী গাবতলী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে গোলাম রব্বানী রতন (উটপাখি) প্রতিক ও সোহেল রানা (ব্ল্যাকবোর্ড) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে হেরে যান সোহেল রানা। ভোটের পরদিন ৩১জানুয়ারী রোববার বিজয়ী প্রার্থী গোলাম রব্বানীর কর্মী সবুজ ও রানা স্থানীয় তরফমেরু দক্ষিণপাড়া এলাকায় গেলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদেরকে প্রথমে গাবতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে বগুড়া (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে পরাজিত প্রার্থী সোহেল রানা অভিযোগ করে বলেন, সকালে তার কর্মী জিলহক নামের একজনকে মারপিট করেছে বিজয়ী প্রার্থী গোলাম রব্বানী রতনের কর্মী-সমর্থকরা। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পাল্টাপাল্টি মারপিটের ঘটনা ঘটলে গোলাম রব্বানী রতনের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় আব্দুর রাজ্জাক, শাহ আলম, আঃ রহিম, জিলহক, আবু তাহের, নজরুল ইসলাম, ইব্রাহিম আলী, ইদ্রিসসহ ১০টি বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এরপর ফারুক ফকিরের একটি সিএনজি, মাসু সোনা ও মাসুদ সোনা এর ২টি দোকান এবং জুয়েলের শ্যালক রবিউলের একটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দেন মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুজ্জামান, তদন্ত ওসি আনোয়ার হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স। তবে পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে বলে গাবতলী মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুজ্জামান জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ৮ই জানুয়ারী সোহেল রানা ও গোলাম রব্বানী রতনের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হলে প্রশাসনের সহযোগিতায় সমঝোতা হয়েছিল।
Posted ১০:০৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTI SHOPON MAHMUD