বগুড়ার গাবতলী উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক আজিজুল হাকিম (৩৮) এক গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। গত রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের হাঁড়িভিটা গ্রামে ধর্ষিতার বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আজিজুল হাকিম সোনারায় ইউনিয়নের মমিনখাদা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক আজিজুল হাকিম বিগত ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে তার স্ত্রী সদস্য প্রার্থী হওয়া সুবাদে একই ইউনিয়নের হাঁড়িভিটা গ্রামের জনৈক এক মহিলা মুদি দোকানীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সুবাদে আজিজুল হাকিম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে ওই মুদি দোকানীর বাড়ীতে যাওয়া আসা করতো। যাওয়া আসার একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে অনৈতিক কথাবার্তাসহ কুপ্রস্তাব দিতো। কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে বাড়ী এসে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতো। এমতবস্থায় গত রবিবার রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী মাছ ধরতে যায়। এ সময় বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে রাত সাড়ে ১২টার সময় আজিজুল হাকিম ও অলমেছ নামের তার এক সহযোগী ওই গ্রহবধূর বাড়ীর সামনে এসে তার স্বামীর নাম ধরে ডাকা ডাকি করে। তখন ওই গৃহবধূ জবাব দিলে অলমেছ বলে ভাবি দোরজা খোলেন দুটি কোমল পানীয় (স্পীড) নিবো। দরজা খুললে আজিজুল হাকিম ঘরের মধ্যে ঢুকে যায় এবং অলমেছ ঘরের দরজা থেকে আটকে দেয়। আজিজুল হাকিম ঘরে ঢুকেই ওই গৃহবধূ মুদি দোকানীকে জাপটে ও মুখ চেপে ধরে মেঝেতে শুইয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা গৃহবধূ কৌশলে আজিজুলকে আটকিয়ে স্বামীকে ফোন করে দ্রুত বাড়ীতে আসতে বলে। তার স্বামী দূরত বাড়ীতে আসলে দরজায় থাকা অলমেছ পালিয়ে যায়। পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে ধর্ষক আজিজুলকে আটকিয়ে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। তৎক্ষনাত আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ৯৯৯নাইনে ফোন করলে থানা পুলিশ দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে আজিজুলকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে আজিজুল ও অলমেছকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজিজুলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগে তদন্ত চলছে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধুকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Posted ৭:২৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ জুন ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD