বগুড়ার গাবতলীতে ছুড়িকাঘাতে আহত জামাল সাকিদার (৫২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশ এই খুনের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও মূল আসামীদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত দুই আসামী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিন হাসান এর আদালতে ফৌঃ কাঃ বি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
জানা গেছে, গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার ধোড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সদের সাকিদারের ছেলে জামাল সাকিদার (৫২) ভ্যানযোগে পেরীরহাট হতে নিজ বাড়ীতে যাবার সময় পথিমধ্যে সোলাকুরিয়া ভাঙ্গা ব্রীজের পূর্বপার্শ্বে পৌছামাত্রই ৩/৪ জন অজ্ঞাত লোক জামাল সাকিদারকে ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ও পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন জামাল সাকিদারকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়। এ ঘটনায় জামাল সাকিদারের ছেলে রুবেল সাকিদার (৩২) বাদী হয়ে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর গাবতলী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন-যার মামলা নং-১৯। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় জামাল সাকিদার ৯ই অক্টোবর ১২টায় মারা যান।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী (বিপিএম) এর দিক নির্দেশনায়, গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মামলার আইও বাগবাড়ী ফাঁড়ীর পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) আশরাফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্র্সের সহযোগিতায় একটি চৌকস টীম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী ধোড়াপূর্বপাড়া গ্রামের মৃত কালু সাকিদার এর ছেলে জব্বার সাকিদার (৩৫) ও আঃ মজিদ সাকিদার (৩০)কে দূর্গাহাটা বাজার হতে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে মাথায় ও পেটে উপর্যুপরি ধারালো ছুড়ির আঘাতে গ্রেফতারকৃতরা জামাল সাকিদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, আসামী জব্বার সাকিদার ব্যক্তিগত জীবনে ৩টি বিয়ে করে এবং আঃ মজিদ সাকিদার ১টি বিয়ে করে। কিন্তু উভয়ের সংসার ভেঙে যায়। তাদের দুই ভাইয়ের সংসার ভাঙার পেছনে জামাল সাকিদারের হাত আছে এমন সন্দেহে এই খুন করা হয় বলে জব্বার সাকিদার ও আঃ মজিদ সাকিদার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
Posted ৯:২৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD