বগুড়ার গাবতলীতে চলতি ইরি-বোরে মৌসুমে সেচপাম্পের অর্ধ শতাধিক মিটার চুরি হয়েছে। চুরি পর বিকাশে টাকা নেয়ার পরও মিটার ফেরৎ পায়নি ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেছেন অনেক ভূক্তভোগী। এরই প্রেক্ষিতে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত সোমবার বগুড়া সদর থানাধীন শাখারিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে মিটার চোর চক্রের মুলহোতা তারিকুল ইসলাম (৪০)কে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তারিকুল ইসলাম শাখারিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রæয়ারী গাবতলীর নেপালতলী ইউনিয়নের কালুডাঙ্গা গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে রানা মিয়াসহ সেচপাম্পের ৪টি মিটার অজ্ঞাত চোরেরা চুরি করে এবং সেখানে সিগারেটের প্যাকেটের ছেড়া কাগজে (০১৯৪৩-৬১০৬৪৩) মোবাঃ নম্বর দিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে চোরেরা ৩০হাজার টাকা দাবী করে। দাবীর প্রেক্ষিতে রানা মিয়াসহ সেচপাম্পের ৪জন মালিক ৮হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে ওই চোর চক্রকে দেয়। তারপর মিটার ফেরৎ না দিয়ে পুনরায় টাকা দাবী করলে রানা মিয়া বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা চোরের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে।
একইভাবে চলতি মাসের ৫এপ্রিল মধ্যরাতে দোয়ারপাড়া গ্রামের আলতাব মন্ডলের ছেলে জামাল মন্ডল (৪০)সহ ৭জন গ্রাহকের বৈদ্যুতিক সেচপাম্পের মিটার চুরি করে সিগারেটের প্যাকেটের ছেড়া কাগজে (০১৯৪১-২২০৭১৩) মোবাঃ নম্বর দিয়ে যায়। পরে ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে চোরেরা ৭টি মিটারের বিপরীতে ৩০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। নিরুপায় হয়ে চাঁদা দাবীর টাকা দিতে চাইলে তখন (০১৯৪৩-৬১০৬৪৩) বিকাশ নম্বর দেয়। এই নম্বরে ৩ধাপে ৩০হাজার টাকা পাঠালে চোরেরা জানায়, পাঁচকাতুলী গ্রামের তোফাহাজী মাদ্রাসার পাশে খড়ের পালার ভিতরে মিটার রয়েছে। তখন ভুক্তভোগীরা উক্তস্থানে অনেক খোজাখুঁজিও করে মিটার না পেয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, মিটার চুরি দীর্ঘদিনের সমস্যা। মিটার চুরি যাওয়ার বিষয়ে পরপর দুটি অভিযোগ পেয়ে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর চোর চক্রের মুলহোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতার এবং মিটার উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Posted ৭:২৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD