গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবণতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে ঘাঘট নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। বিপৎসীমা অতিক্রম করার কাছাকাছি রয়েছে তিস্তা নদীর পানিও। বন্যায় এ পর্যন্ত গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের ৫৭ হাজার ২৬৪ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টিতে প্রায় ১৯০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া এই চার উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও ৬ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। তবে বরাদ্দ দেওয়া টাকায় শুকনো খাবার, তাঁবু, পলিথিনসহ অন্যান্য উপকরণ কিনে দেওয়া হচ্ছে বন্যার্তদের মধ্যে।
এসব বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস. এম. ফয়েজ উদ্দিন বলেন, দিন দিন পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন। বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, ব্রহ্মপুত্র নদের সদর উপজেলা এবং যমুনা নদীবেষ্টিত ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার অনেক এলাকা নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙনকবলিত শতাধীক পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সেই সাথে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে সদর ও ফুলছড়ি হয়ে সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট। বন্যায় ডুবে গেছে নলকূপ, সবজি ও পাটসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল। ফলে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। মানুষ সুপেয় পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার ৪২সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা বাদে সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
Posted ৯:৫১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD