আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় খালাতো ভাই কর্তৃক জোড়পুর্বক জমি দখল খড়ের পালায় আগুন লাগানোর অভিযোগ তুলেছে খালাতো ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ মার্চ সোমবার উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের পুর্ব ভেলুরপাড়া গ্রামে।
জোড়পুর্বক জমি দখল করায় পুর্ব ভেলুরপাড়া গ্রামের মৃত: রাহিম উদ্দিন খানের ছেলে ফেরদৌস আলম ফরিদ বাদী হয়ে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার মৃত আব্দুল জলিল সরকার মেয়ে মোছা: বেহুলা বেগম (৪৬) ছেলে মোঃ জিল্লুর রহমান (৬০),কোব্বাত আলী (৫২) স্ত্রী আইরিন বেগম, হাসেন আলী (৬০) স্ত্রী পারভীন বেগম, সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোছাঃ জোস্না বেগম (৪৩), ও মৃত আজিজার রহমানের ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম(৩৬)।
ফরিদ অভিযোগে উল্লেখ করেন উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের শিচারপাড়া মৌজার ১৪৪ খতিয়ানের জেএল নং-১৫৪, রে:সা নং-২০০ এর বিভিন্ন শ্রেণীর সম্লিত ২৮৮ শতাংশ জমির বিরোধ। আমি নানার বাড়ীতে নানা-নানী মামা খালার আদর যত্নে লালিত পালিত হই। নানার বাড়ী আমার মূল ঠিকানা। আমার নানা মরহুম এরফান আলী প্রামানিক এর প্রথম স্ত্রী বাউড়ী বেগম মৃত্যুবরণ করায় দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম স্ত্রী ঘরে হাসিনা বেগম নামে এক কন্যা ছিল এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ২ কন্যা এবং ১ম পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। আমার নানা এরফান আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর বড় কন্যা মরহুম ফাতেমা খাতুন এর এক মাত্র সন্তান আমি। আমার ছোট খালা মোছা: ছবিতননেছা বিবাহিতা। আমার মামা আব্দুর রাজ্জাক গত ২৭/০৪/২০২২ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। আমার নানা নানী মা এবং মামা মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর অনেক পূর্বেই আমার মামার পৈত্রিক স্থাবর অবস্থাবর সকল সম্পত্তি প্রাপ্য অংশ অনুযায়ী ৩ বোন অর্থাৎ আমার মা এবং খালাদের মধ্যে ভাগ করে দেন এবং দঘলীয় সত্ত্ব হস্তান্ত করেন। আমার মামা যেহতু অবিবাহিত ছিলেন তাই আমার মামার অংশের জমি আমার মা ফাতেমা খাতুন জীবিত থাকাকালে তার নামে ২৫২ শতাংশ জমি লিখে দেন এবং গ্রামের মসজিদের নামে ২৫.৫০ (সারে পঁচিশ শতক) এবং পার্শ্ববর্তী হলিদা বগা দাখিল মাদ্রাসার ৩ শতাংশ, আমার নামে ২০ শতাংশ দান করে দেন ও গ্রামের গরীব দুস্থ ছাদেক আলীকে দান করেন ৫.২৫ শতাংশ। ১৯৮৯ সালে মাঠ জরীপ এ প্রস্তুত খতিয়ানে আমার মরহুম নানার সম্পন্ন জমি তাল ওয়ারিশ শর্তগণের নামে প্রাপ্য অংশে যায়। সেই থেকে প্রত্যেক ওয়ারিশগণ যার অংশ তা ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি নানার প্রথম স্ত্রী একমাত্র কন্যা হাসিনা বেগম এর পুত্র কন্যাগণ জাল জালিয়াতের আশ্রয় নিয়ে একটি মিথ্যা ও ভূয়া খতিয়ান প্রস্তুত করে। ভূয়া খতিয়ানে তারা তাদের মাতার ভোগদখলীয় জমির অতিরিক্ত জমি নিজেদের বলে দাবী করে। যা জোড়গাছা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সংরক্ষিত খতিয়ানে দৃশ্যমান আছে। কিন্তু বগুড়া জেলা কালেক্টরেট ও ডিসি অফিসও তাদের কাগজপত্র নাই বলে উল্লেখ করে অভিযোগে। প্রতিপক্ষ ভুয়া খতিয়ান প্রদর্শন করে জোরপূর্বকভাবে আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে বেদখল দিতেছে এবং আমাকে ও আমার এক খালাকে জমিতে যেতে বাধা দিচ্ছে। আমাদেরকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতেছে। আমি এবং আমার খালা জীবনের ভয়ে জমিতে যেতে পারছি না প্রতিপক্ষগণ জোড়পূর্বকভাবে জমি দখলের করতেছে।
ফরিদের স্ত্রী বলেন, গত দুই তিন দিন আগে আমার জমিতে গর্ত করেছে বাশঁ কেটেছে এবং উঠানে থাকা খরের পালায় আগুন লাগিয়ে দিয়ে ক্ষতি সাধন করছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ খালাতো ভাই জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা দুজন খালাতো ভাই আমার নানার সম্পত্তি সমান অংশিদার আমি অন্যের জমিতে যাই নাই আমার জমিতে কাজ করছি। খরের পালায় ওরা নিজেরাই আগুন লাগিয়েছে।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। জমিজমার বিষয় আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Posted ৯:০৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD