কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর, পাঁচগাছী ও ভোগডাঙ্গা, উলিপুর উপজেলার বেগমগন্জ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের প্রায় সহ¯্রাধিক পরিবার।স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকার অনেক পরিবারের ঘরে পানি প্রবেশ করায় ধান, চাল, চুলা ও শুকনো খড়িসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র চৌকি কিংবা উঁচু স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড় বন্যার আশংকায় দু:চিন্তায় পড়েছেন তারা।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, আগামী ২৪ ঘন্টায় ধরলার পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে যাত্রাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে করে ইউনিয়নের পোড়ারচর, কালির আলগা, পূর্ব তিন হাজারী, মুছল্লীপাড়া, মন্ডলপাড়া, পশ্চিম মুছল্লী পাড়া, ঝুনকার চর, চরভগবতীপুর ও পার্বতীপুর চরের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচগাছী ও ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মইনুল হক জানান, গত ৪ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঘরের ভিতর পানি প্রবেশ করেছে। পার্শ্ববর্তী কোন উচু জায়গা না থাকায় ঘরের ভিতর উচু মাচান করে সেখানে চুলা, খড়িসহ প্রয়োজনীয় জিনিসি পত্র রাখছি। নিজেরাও কষ্ট করে নৌকা ও উচু মাচানে দিন পার করছি। পানি আরো বৃদ্ধি পেলে ঘরে থাকার উপায় থাকবে না।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার ইউনিয়নের ৫ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি জীবন-যাপন করছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের আব্দুল বাতেন সরকার জানান, ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত: ৩ শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
পার্শ্ববর্তী ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, ধরলার অববাহিকার ৫টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে এসব গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে রৌমারী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Posted ১:২৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD