মঙ্গলবার ২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

কাহালুতে সন্তানদের অপহরণের হুমকি দিয়ে পোস্টার; এলাকায় আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক   রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
121 বার পঠিত
কাহালুতে সন্তানদের অপহরণের হুমকি দিয়ে পোস্টার; এলাকায় আতঙ্ক

বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নে হঠাৎ আজ রোববার ভোরে গ্রামবাসীরা বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা দাবি করা লিফলেট বাড়ির দেয়ালে দেখতে পান। এরপর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, অন্তত ৬০০ বাড়িতে চাঁদা চেয়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। চাদা না দিলে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে সন্তানদের অপহরণের হুমকিও দেওয়া হয়।


ওই গ্রামের এক নারী জানান, ‘আমার বাড়িতে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে পোস্টার লাগানো হয়েছে। তিন ছেলে-মেয়ে আর নাতি-নাতনি বসবাস করি। এর মধ্যে চাঁদাবাজির পোস্টারে আতঙ্কের মধ্যে আছি। ছোট বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।’

নোটিশে বাড়ির মালিকের আর্থিক ও পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বচ্চ ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এছাড়া পোস্টারে বলা হয়েছে, টাকা ৬ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট (নয়া পুকুরপাড়ে সোলার প্যানেলের নিচে বাক্সে) স্থানে দিতে হবে। টাকা না দিলে আগামী ৭ তারিখের পর ছেলে-মেয়ে হারিয়ে গেলে কোনো কিছু করার থাকবে না।


পোস্টারে আরও উল্লেখ করা হয়, কে বা কারা সেটা না খুঁজে অল্প কিছু টাকার জন্য বাচ্চাদের বিপদে না ফেলার ব্যাপারেও হুশিয়ারি দেয়া হয়। প্রত্যেককে নিজের টাকার সাথে একটা কাগজে নিজের নাম লিখে স্থাপিত বাক্সে ফেলার ব্যাপারে নির্দেশনাও দেয় এই দুর্বৃত্তদের চক্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, রাতের বেলায় কে পোস্টার লাগাইছে জানি না। অনেক কিছু লিখে রাখছে। কারও ২ হাজার, কারও ৫ হাজার টাকা চাঁদা ধরা হয়েছে। তবে আমার দরজায় ২০০ টাকা চেয়ে পোস্টার লাগাইছে। যাদের সন্তান আছে তাদের চাঁদা বেশি দিছে। আমার সন্তান নাই তাই ২০০ টাকা।


সকালের চাঁদার পোস্টার দেখার পর সন্তানকে নিজে মাদ্রাসায় নিয়ে গেছেন এক অভিভাবক। তিনি জানান, দিনের বেলায় সাধারণত এলাকার পুরুষেরা কাজে বের হন। এই কারণে সন্তানদের দেখভাল তারাই করেন। আগে ছেলে-মেয়েরা একাই স্কুলে যাওয়া আসা করত। আজ এই লিফলেট দেখে কলিজা থরথর করে কাঁপছে।

অবশ্য ঘটনার পর সকালের দিকে বগুড়া জেলা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কারা কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Facebook Comments Box

Posted ৬:৪২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩

Alokito Bogura || Online Newspaper |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক:

এম.টি.আই স্বপন মাহমুদ

বার্তা সম্পাদক: এম.এ রাশেদ

সহ-বার্তা সম্পাদক: মোঃ সাজু মিয়া

অস্থায়ী অফিস:

তালুকদার শপিং সেন্টার (৩য় তলা),

নবাববাড়ি রোড, বগুড়া-৫৮০০।

বার্তা, ফিচার ও বিজ্ঞাপন যোগাযোগ:

+৮৮ ০১৭ ৫০ ৯১ ১৮ ৪৫

ইমেইল: alokitobogura@gmail.com

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন কর্তৃক নিবন্ধিত।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।
error: Content is protected !!