বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয় না বলে গেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী, কিন্তু আজকের বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বইয়ের উপস্থিতি কমতে শুরু করেছে। তার ভেতর আবার করোনা মহামারি থাবা বসিয়েছে। মহামারি করোনা ভালো ভাবে আঘাত হেনেছে পুস্তক প্রকাশনা শিল্পে । দীর্ঘদিন বন্ধের পর বইয়ের দোকানগুলো খুললেও সুদিন ফেরেনি। একেবারেই কমে গেছে বই বিক্রি। অনলাইনেও বিক্রি নেই। অনলাইনেও সেল নেই বললেই চলে। আগের মতো নেই ক্রেতা-পাঠকের উপস্থিতি। নেই চিরচেনা কোলাহল, যেনো স্থবির অনলাইনচত্ত্বর। হাতেগোনা ২/৪ জন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসলেও নেই তেমন বই বিক্রি। তাই বিনিয়োগ তুলতেই মাথায় হাত সংশ্লিষ্টদের।
করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুস্তক-প্রকাশনা শিল্পে। কয়েকমাস আগেও যেখানে ছাপাখানার কর্মীদের দম ফেলার সময় ছিল না, সেখানে আজ তাদের হাতে কাজ নেই বললেই চলে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবই হয়ে যায় শেষ কিন্তু ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে চিরস্থায়ী রয়ে যায় কেবল বই। বইই জ্ঞান, বইই আনন্দ, বইই চিরন্তন।
সারি সারি বই, বইয়ের ভাঁজে-ভাঁজে শতশত গল্পে নিজেদের খুঁজে নিতে হাজির হওয়া ছিল আমাদের বই প্রেমীদের মুল লক্ষ্য সেই লক্ষ্য পরেছে করোনার থাবার ছবলে। করোনা থামিয়ে দিয়েছে অনেক কিছু। কিন্তু এইসব সাহিত্যনুরাগী প্রাণকে থামাতে পারেনি করোনা।।
এই শিল্পে অন্তত দুইশো কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে এই শিল্প। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় পড়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রকাশনা সংস্থাগুলো।
প্রকাশকরা জানান, এমন পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবেন তারা। ব্যবসা চালাতে অনেক প্রকাশককেই নতুন বিনিয়োগ নিয়ে শুরু থেকে শুরু করতে হবে।
বাংলাবাজারে এক নিউইয়র্ক প্রবাসী এসেছেন মাতৃভাষায় লেখা বই কিনতে তার সাথে কথা হল তিনি জানালেন, আমার জন্ম বাংলাদেশে; আমি থাকি নিউইয়র্কে, চেষ্টা করছি নিউইয়র্কে অনেকগুলো বই নিয়ে যেতে। কারণ আমি চাই ওখানে আমার পরিবার ও আমার মধ্যে সাহিত্য চর্চাটা অটুট থাকুক।
সব দুর্যোগ কাটিয়ে আবারও বইপাড়া ফিরবে পুরনো চেহারায়- এমন প্রত্যাশা আমার, আপনার; সবার।
✍️লেখক: এম.টি.আই স্বপন মাহমুদ
সম্পাদক ও প্রকাশক, আলোকিত বগুড়া
Posted ৮:৩৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২১
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTI SHOPON MAHMUD