একযুগ ধরে বাড়িতে পানির সংযোগ বন্ধ থাকলেও সিরাজগঞ্জ পৌরসভা ভৌতিক বিল করেছে ৭৪ হাজার ১ শত ২৫ টাকা। এঘটনায় পৌরসভা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী। এমননি একটি ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ মহল্লার ২নং গলির বাসিন্দা আশরাফুল আলমের স্ত্রী ছালমা সিদ্দিকার বাড়ীতে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ছালমা সিদ্দিকা অর্ধ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি পানির সংযোগের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্দেশে পানি সরবরাহ শাখার বিল নং ১৫১৯ পাচঁশত টাকার সংযোগ ফি দিয়েও বাড়িতে মেলেনি পানির সংযোগ। একের পর এক বাড়িতে পানির বিল আসায় ২০১৬ সালের ১৪ই নভেম্বর সিরাজগঞ্জ পৌরসভা বরাবর পানির লাইন চালুকরন সহ বিগত ভৌতিক বিল মওকুফের জন্য একটি আবেদন দাখিল করেন। কিন্তু সিরাজগঞ্জ পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখার গাফলতির কারনে ২০২২ সালে এসেও বন্ধ হয়নি ভৌতিক বিল। ২৯ শে মার্চ ২০২২ সালে পুনরায় নতুন করে আরও একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়।
ভুক্তভোগী ছালমা সিদ্দকা বলেন, একযুগ ধরে সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় পানির লাইনের জন্য ঘুরতে ঘুরতে পায়ের সেন্ডেল খয় হয়েছে। তবুও পানির সংযোগ পাইনি। অথচ আবেদন করার পর থেকে ভৌতিক বিল আসা শুরু করে। বারবার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দাখিল করেও পানি সরবরাহ শাখা থেকে পানির বিল আসা বন্ধ হয়নি। সর্ব শেষ ২৭/০১/ ২০২২ সালে পানির ভৌতিক বিল ৭৪ হাজার ১ শত ২৫ টাকা দেখে আমি হতভম্ব হয়ে মেয়র বরাবর ভৌতিক বিল মওকুফসহ পানি সরবরাহ শাখার গাফললি কর্মকতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করি।
ভুক্তভোগী ছালমা সিদ্দিকার স্বামী আশরাফুল আলম বলেন, পৌরসভায় পানির সংযোগের জন্য সংযোগ ফি প্রদান করি। বাড়িতে পানির সংযোগ না দিয়ে শুধু মাত্র একটি পানির মিটার লাগিয়ে দেয়। একাধিকবার অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। মেয়রের কাছে দাবি খুব দ্রুত ভৌতিক বিল মওকুফসহ বিল ইস্যুকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার বিলার মো. রেজাউল করিম বলেন, এসংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। সংশোধনের সুযোগও রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সমাধান দেয়া হবে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়ের সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, পানির লাইন না থাকলে বিল পাঠানোর কোন সুযোগ নেই। একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ১০:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD