ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানেই নিজেকে একটু ব্যতিক্রম করে সাজানোর চেষ্টা। ঈদ সকল মানুষের জীবনে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ। হোক সে ধনি কিংবা দরিদ্র। ঈদ এলেই নতুন কাপড় কেনার ধুম পরে যায়। সেই কাপড় তৈরীর জন্য যেতে হয় দর্জিদের দ্বারে। এজন্যই পুরো রমজান জুড়ে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় পোশাক কারিগড়রা।
বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের পোশাক কারিগড়রা একটু বেশীই ব্যস্ত। শহুরের ক্রেতারা সাধারনত রেডিমেট পোশাকই বেশী পরিধান করেন। কিন্তু গ্রামীণ মানুষগুলো বেশীরভাগ দর্জিদের স্বরনাপূন্ন হন। বেশীরভাগ দর্জিরাই সারা রাত ধরে কাজ করেন।
তাদের কাজের চাপ এত বেশী যে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে পোশাক বানাতেই ব্যস্থ তারা। শিবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি বন্দরে বন্দরে এমনকি প্রতিটি গ্রামে গ্রামে আনাচে-কানাচে রয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০টি টেইলার্স বা দর্জির দোকান রয়েছে। কথা হয় টেইলার্স কর্মী মিজানুর, ফেরদৌস, সিরাত ও আইনুরের সাথে। তারা জানান এবার ঈদে প্রচুর কাজ পেয়েছি আমরা। মুসলিম স¤প্রদায়ের পবিত্র ঈদ-উল ফিতর ও আযহা সময়ই তাদের কাজের চাপ বাড়ে। তবে ঈদ উল ফিতরেই বেশি কাজের চাপ সৃষ্টি হয়। একজন কারিগড়কে দিনে ০৮/১০টি পোষাক তৈরী করতে হয়।
শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে ভাই ভাই সুপার মার্কেট লেটিস এন্ড জেন্স কর্ণার এর স্বত্বাধিকারি মামুনুর রশিদ (দর্জি) গত ২৫ বছর যাবত তিনি দর্জির কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রোজা আসলেই আমাদের ব্যস্ততা বাড়ে। তবে আগের চেয়ে ব্যস্ততা কিছুটা কম। দর্জির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়,বিদেশী রেডিমেট পোশাকে মার্কেটগুলো পরিপূর্ন বলে তাদের গ্রাহকের সংখ্যা কম। তবে যে পরিমান কাজ পেয়েছেন সেগুলো সঠিক সময় ডেলিভারি দিতেই তাদের হিমশিম খেতে হবে।
তিনি জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিং কারণে অনেক সময় তাদের কাজ করতে সমস্যা হয়। কিন্তু পেশাদারিত্বের তাগিদে সঠিক সময় গ্রাহকের কাছে তাদের পোশাক পৌঁছে দিতে অনেকে মোমবাতির স্বল্প আলো দিয়েই কাজ করে চলেছেন।
হক টেইলার্স এর স্বত্বাধিকারী দর্জি আনোয়ার হোসেন বলেন, ৩৫ বছর যাবত তিনি দর্জি কাজ করে আসছেন। করোনা কারণে গত বছরের চেয়ে এ বছর তিনি অনেক কাপড় তৈরীর অর্ডার পেয়েছেন। করোনার পর স্কুল কলেজ খোলার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক তৈরীর পাশাপাশি ঈদের নতুন জামা কাপড়ের অর্ডার পাচ্ছি বেশী। আমরা কষ্ট করে কাজ করছি। ঈদের আগেই ইনশাল্লাহ নতুন পোশাক গ্রাহকের কাছে পৌছে যাবে।
Posted ৭:৫৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD