বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মাঠে মাঠে ইরি-বোরো ধানের শীষে ভরপুর। যেদিকেই চোখ যায় যেন এক অপরুপ সমাহার। ইরি-বোরো ধানের শীষ মাঠে বাতাসের দোলা খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন । চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। তা দেখে খুশিতে কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক। এবার তারা শংকিত প্রাকৃতিক দৃর্যোগ কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি আশংকায়।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শস্যভান্ডার বলে খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা। চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে ১২ হাজার ৪শত ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে উন্নতজাতের উফসি জাতের ধান ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর ও হাইব্রিট ২শ হেক্টর ধান রয়েছে। কৃষকরা জিরাশাইল, পারিজা, ব্রিধান-২৮,২৯,৫০,৬৪, হাইব্রিড-৫, এসিআই-৬, বলিয়া-২সহ প্রভৃতি জাতের ইরি-বোরা ধানচাষ করেছেন।
এ বার ইরি বোরো আবাদে তেমন কোন রোগবালাই আক্রান্ত হয়নি। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইরি বোরো ধানগাছে রয়েছে সুন্দর তেজ। সেই ধানের গাছ ভাল রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা সার্বক্ষনিক পরিচর্যা করায় এখন ধান গাছে বড়বড় শীষ বের হয়ে খাচ্ছে বাতাসের দোলা। আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে কৃষকরা।
তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক এনামুল হক, কোমারপুর গ্রামের কৃষক এরশাদ আলীসহ অনেক জানান, এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। তবে তাদের মনে সর্বদা প্রাাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আতংক বিরাজ করছে। এছাড়া ধান কাটা মাড়াইয়ের শ্রমিক সংকটেরও আশংকায় শংকিত রয়েছে কৃষককুল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Posted ৯:৪৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD