আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে আরবি পড়তে গিয়ে ১০ বছর বয়সের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের মুয়াজ্জিন মাদরাসা ছাত্র ইয়ামিন হোসেনকে (১৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার হটাৎপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষক ইয়ামিন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার চিচুরিয়া গ্রামের সামছুল জামাল মুকুলের ছেলে। ইয়ামিন সান্তাহার হাটৎপাড়া মালগুদাম দারুল নাজাত রহমানিয়া মাদরাসার হেফজ ক্লাসের ছাত্র ও হটাৎপাড়া মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসাবে কাজ করে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদি হয়ে ইয়ামিনকে আসামী করে রাতে আদমদীঘি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
জানা যায়, মাদরাসা ছাত্র ইয়ামিন পড়াশুনার পাশাপাশি সান্তাহার হটাৎপাড়া (আদর্শপাড়া) জামে মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসাবে আযান দেয়ার কাজ করে। ওই মসজিদের ইমামের কাছে হটাৎপাড়ার ১৫/২০ জন শিশু মেয়েরা প্রতিদিন আরবি শিক্ষার জন্য আসে। মসজিদের ইমামের অনুউপস্থিতিতে মুয়াজ্জিন ইয়ামিন শিশুদের আরবি শিক্ষা দেয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মসজিদের ইমাম না থাকায় মুয়াজ্জিম ইয়ামিন শিশু মেয়েদের আরবি শিক্ষা দেয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় আরবি পড়া শেষ হওয়ার পর সকলকে ছুটি দিলেও ওই শিশুকন্যাকে আরো পড়া রয়েছে বলে কৌশলে মসজিদের ২য় তলায় ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর শিশুকন্যটি কান্নাকাটি করে বাসায় ফিরে বিষয়টি জানানোর পর স্থানীয় বাসিন্দারা লম্পট কিশোর ইয়ামিনকে আটক করে পুলিশে দেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, আজ শুক্রবার ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ও আসামী ইয়ামিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Posted ৯:১২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD