বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় একসময় বিভিন্ন খাল-বিল ও অনেক ডোবায় জাতীয় ফুল শাপলা দেখা যেত। লাল কিংবা সাদা শাপলা ফুল দেখে মুগ্ধ হতেন অনেক। সহজেই মিলতো এই শাপলা ফুল। বর্তমানে কালের বিবর্তনে বিভিন্ন খাল-বিল পুকুর ডোবার পানি শুকিয়ে সেখানে মাছ চাষ হওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার প্রায় খাল-বিল পুকুর ও ডোবার পানিতে শাপলা ফুল জন্ম নিত। পূর্ব পুরুষেরা বিশেষ করে দোকানীরা শাপলা গাছের পাতা ব্যবহার করে লবন ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করতেন। আবার অনেকে শাপলার ডাকা তরকারি হিসাবেও খেতেন।
অনেক গ্রামীণ কবিরাজের মতে এই এই শাপলা বা ‘ঢ্যাপ’ ফুল আমাশয়, বদহজম এবং রক্ত আমাশয় নিরাময়ে বেশ কার্যকরী হিসাবেও ব্যবহার করতেন গ্রামের মানুষ। আদমদীঘি উপজেলায় একসময় খাল, পুকুর ডোবাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে দেখা যেত শাপলা ফুল। এতে পাওয়া যেত প্রচুর পরিমাণে ঢ্যাপ। কিন্তু কালের বিবর্তে সেই পুকুর খাল ও ডোবা গুলোর পানি এখন শুকিয়ে করা হচ্ছে মাছচাষ। আবার অনেকই মাটি কেটে ভরাট করে নির্মান করছেন বসতবাড়ি। ফলে ক্রমেই প্রাকৃতি কারনে আদমদীঘি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় এই ফুল শাপলা।
‘শাপলা ফুল’ বা ‘ঢ্যাপ’ মাঝে মধ্যে উপজেলার কিছু বাজারে শাপলা ফুলের‘ঢ্যাপ’ বিক্রি করতে দেখা যায়। এই শাপলার ফুল বা ঢ্যাপ দিয়ে খৈ বা তার বীজদানা রোদে শুকিয়ে চালও করা যায় বলে প্রবীন ব্যক্তিরা জানান। প্রবীন ব্যক্তি মকবুল হোসেন জানান, আগে শাপলা ফুল প্রচুর বিক্রি হয়েছে। এখন আর চোখে পড়েনা। নতুন প্রযুক্তির কারনে হারিয়ে যাচ্ছে এই শাপলা ফুল।
Posted ৬:৫১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD