বগুড়ার আদমদীঘিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাগিনা আনোয়ার হোসেনের ধারালো অস্ত্রের কোপে হাত-পা কেটে দেওয়া গুরুত্বর আহত মামা আবুল কালাম আজাদ (৫০) মারা গেছেন। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অরশেষে ৬দিন পর গত বৃহস্পতিবার (৭এপ্রিল) রাত ১১টায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তিনি মার গেলেন। নিহত আবুল কালাম আজাদ আদমদীঘি উপজেলার উথরাইল গ্রামের সাহাদত আলীর ছেলে। এদিকে পুলিশ এই হত্যাকান্ডের মুল এজাহারভুক্ত আসামী আনোয়ার হোসেন সাদ্দামসহ অপরদের খুঁজছে।
প্রকাশ, আদমদীঘি উপজেলার উধরাইল জাহানাবাজ গ্রামের আবুল কালাম আজাদের সাথে তার আপন ভাগিনা আনোয়ার হোসের ওরফে সাদ্দামের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১ এপ্রিল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ওই গ্রামে জনৈক আবু বক্করের দোকানে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ইব্রাহিমের বাড়ির খুরিয়ানে পৌঁছামাত্র তার ভাগিনা আনোয়ার হোসেন সাদ্দামসহ সহযোগীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আবুল কালাম আজাদের পথরোধ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্রে দিয়ে আবুল কালাম আজাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে তার ডান হাত ও পা কেটে দেয়। এতে সে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় আহত আবুল কালাম আজাদের ভাই আব্দুস সালাম বাদি হয়ে একই গ্রামের ভাগিনা আনোয়ার হোসেন ওরফে সাদ্দাম, মাসুদ রানা, এনামুল হোসেন, লাভলু ও পল্টুকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে পল্টুকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সে জামিনে মুক্ত রয়েছে। এদিকে আহত আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ৬দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। অপরদিকে এ ঘটনার মুল আাসামী ভাগিনা আনোয়ার হোসেন সাদ্দামকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন বলেন, আসামীদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছে।
Posted ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD