ফাইল ছবি। (আলোকিত বগুড়া)
বগুড়ার আদমদীঘির হাট বাজারে নিত্যপণ্যের দাম উর্দ্ধগতি দেখা দিয়েছে। দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আদমদীঘি হাট-বাজারগুলোতে চাল, ভোজ্য তেল, ডাল, মাছ, ডিম, মুরগি, সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষরা। প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে লাগামহীন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। তারা হাট-বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিসাব মিলাতে পারছে না তারা।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষরা বাজারে এসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে হিসাব মিলাতে না পেরে হতাশায় পড়ছেন। নির্ধারিত টাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা কেজি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ২০০ টাকা কেজি, সরিষার তেল ১৮০ টাকা থেকে ২১০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা থেকে ১১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ টাকা, মুরগির এক হালি ডিম ছিল ৩২ টাকা, বর্তমানে ৪৮ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ও মসুর ডাল ১০০ টাকা কেজি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সব ধরণের চাল কেজি প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার করতে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চালানো দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তদারকি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
চাল কিনতে আসা কাশিমালা গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, গত সপ্তাহে ৪৫ কেজি চাল কিনেছি, অথচ সেই চাল এখন ৫২ টাকায় কিনতে হলো। চালের বাজারে দেখা গেছে, ৫০ টাকা কেজির নিচে কোন চাল নেই। আর উন্নতমানের চাল ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শ্রাবণী রায় জানান, বাজার মনিটরিং নিয়মিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।
Posted ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ আগস্ট ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD