বগুড়ার আদমদীঘিতে জেসমিন আক্তার নামের এক ১০ম শ্রেনির স্কুল ছাত্রী অলৌকিক ভাবে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে জুবায়েদ মন্ডল। আদমদীঘি উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে কৌতুহলি জনতা তাকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানা গেছে, আদমদীঘি নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন জেসমিন আক্তারকে স্ত্রী মরিয়মের পেটে রেখে বিদেশে যান। জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নানা-নানীর বাড়ি উপজেলার শাওইলে বসবাস করতেন। সেখানে জেসমিন আক্তার বড় হয়। বর্তমানে শাওইল দ্বীমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনিতে লেখাপড়া করতেন। গত দুই বছর আগে তার বাবা বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে কৃষি কাজ করতেন আর তাদের সংসারে এক মেয়ে এক ছেলে ছিলো। বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়ার কথা ভাবছিলেন।
এদিকে গত চার মাস আগে জেসমিন আক্তারের কন্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। ছেলেদের মতো কন্ঠস্বর হতে থাকে। তার পর থেকে তার আচার-আচরণ ছেলেদের মতো হতে থাকে। ৪৫ দিনের মাথায় জেসমিন আক্তারের শরীরির গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হন। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে কৌতুহলী জনতা তাকে দেখতে তাদের বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন।
জেসমিন আক্তার বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি নামাজ রোজা ও তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তাম। প্রথমে তেমন কিছু মনে হয়নি। তিন মাস আগে হঠাৎ একদিন আমার গায়ে জর আসে। এরপর থেকে শরীরিক গঠন মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হই এখন আমার নাম জুবায়েদ মন্ডল। এখন আমি পূর্ণাঙ্গ পুরুষ হিসেবে সুস্থ।
জেসমিনের বাবা জালাল হোসেন মন্ডল সাংবাদিকদের জানায়, আমার রড় মেয়েটি ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ মন্ডল। আমি অনেক খুসি হয়েছি মহান আল্লাহর কাছে।
Posted ১০:০৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
Alokito Bogura। সত্য প্রকাশই আমাদের অঙ্গীকার | Trisha Mahmud