বগুড়ার আদমদীঘিতে সরকারি বৈধ লাইসেন্স ছাড়া বোরো মৌসুমে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সার মজুদ রাখায় মেসার্স জুঁই ট্রেডার্স এন্ড তানহা হার্ডওয়্যারের নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪১৬ বস্তা সার উদ্ধারসহ দোকান মালিক সুমন ইসলাম (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে।
গত বুধবার ২ মার্চ দিবাগত রাত ৯টায় আদমদীঘির সান্দিড়া গ্রামে ওই দোকানের গুদাম থেকে এই পরিমান সার জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুমন ইসলাম আদমদীঘি উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী বাদি হয়ে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করেন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানান, আদমদীঘি উপজেলার সান্দিড়া গ্রামে অবস্থিত মেসার্স জুঁই ট্রেডার্স এন্ড তানহা হার্ডওয়্যারের স্বত্বাধিকারি সুমন ইসলাম সরকারি লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধ ভাবে সার ও কীটনাশক বিক্রি করে আসছিল। এরই আড়ালে তার মাটির ঘরের গুদামে অবৈধ ভাবে কালো বাজারীর মাধ্যমে অধিক মুনাফার আশায় বোরো মৌসুমে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার রামসায়নিক সার মজুদ করে রাখে।
গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট শ্রাবণী রায়ের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী ওই দোকানের গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে মজুদ রাখা বিসিআইসির ২৯২ বস্তা সার, কাফকোর ৭ বস্তা, কাতার ৩ বস্তা ইউরিয়া সার, টিএসপি ৬বস্তা সার ও ডিএপি ১০৮বস্তা সারসহ মোট ৪১৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়। জব্দ করা সারের সর্বমোট মুল্য ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ টাকা।
এর আগে গত মঙ্গলবার ১ মার্চ সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত উক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে সার মজুত রাখার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক সুমন ইসলামের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবা হক।
তারপরও গুদামে থাকা সার গোপনে পাচারের চেষ্টা করলে গত বুধবার এই গুদামে আবারো অভিযান চালিয়ে ৪১৬ বস্তা সার জব্দ ও সুমন ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী সার উদ্ধার ও মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Posted ৯:৩৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD